এরপর শুক্রবার (০৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে তাদের উখিয়া ও টেকনাফের নিজ নিজ রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
আটককৃত দুই দালাল হলেন- টেকনাফ জাহাজপুরা এলাকার হাবিব উল্লাহর ছেলে মুহিবুল্লাহ ও দমদমিয়ার আব্দুল করিমের ছেলে হুমায়ন।
এর আগে বৃহস্পতিবার (০৭ ফেব্রুয়ারি) দিনগত গভীর রাতে এবং শুক্রবার সকালে পৃথক অভিযান চালিয়ে এদের আটক করা হয়।
টেকনাফ-২ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল আছাদুজামান চৌধুরী বাংলানিউজকে জানান, মালয়েশিয়ায় পাচারের উদ্দেশে মানবপাচারকারী চক্র শাহপরীর দ্বীপ, ঘোলারচর ও শীলখালীর নোয়াখালীয়াপাড়ায় বেশকিছু রোহিঙ্গাকে জমায়েত করেছে, এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিজিবির দু’টি পৃথক দল ওই দু’টিস্থানে অভিযান চালায়।
এসময় শাহপরীর দ্বীপের ঘোলারচর এলাকা থেকে এক দালালসহ ১২ জন রোহিঙ্গা এবং শীলখালী থেকে এক দালালসহ ১৮ জন রোহিঙ্গাকে আটক করা হয়। এসব রোহিঙ্গারা সাগর পথে অবৈধভাবে মালয়েশিয়া যাওয়ার জন্য ওইস্থানে অপেক্ষা করছিল।
তিনি আরো জানান, সব রোহিঙ্গাকে শুক্রবার বিকেলে উখিয়া ও টেকনাফে নিজস্ব ক্যাম্পে ফেরত পাঠানো হয়েছে এবং দালালদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে টেকনাফের উপকূলীয় ইউনিয়ন বাহারছড়ার শামলাপুর, জাহাজপুরা এলাকায় অভিযান চালিয়ে ২০ জন রোহিঙ্গা নারী, পুরুষ ও শিশুকে আটক করেছে পুলিশ। বিকেলে তাদেরকে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছেন বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ এসআই আনোয়ার হোসেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৮,২০১৯/আপডেট: ২১০৩ ঘণ্টা
এসবি/জেডএস