বিশেষ করে ফসলের জন্য দারুণ উপকারী। দীর্ঘ খরা ও বৃষ্টিহীন শীতে প্রকৃতি যখন রুক্ষ হয়ে উঠে তখন এক পশলা বৃষ্টি যেন ফসলের জন্য অনেক সুফলই বয়ে নিয়ে আসে।
শুরুতেই এক পশলা বৃষ্টি ভিজিয়ে দেয় উত্তরের এই শুষ্ক জনপদ। এরপর সামান্য বিরতি দিয়ে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি চলছেই। ফলে মাঘের শেষ সপ্তাহে শীতের তীব্রতা আবারও বেড়েছে। পথের ধারের ছিন্নমূল মানুষগুলো শনিবার আবারো পড়েছেন দুর্ভোগে। তবে এই বৃষ্টিতে খুশি হয়েছেন গ্রামের কৃষকরা।
কৃষকরা বলছেন, এই বৃষ্টি বোরোসহ মাঠে ফসলের জন্য আশীর্বাদ। আমের মুকুলের জন্যও এই মুহূর্তের হালকা বৃষ্টি প্রয়োজন।
এদিকে ছুটির দিন বিকেল থেকে বৃষ্টি শুরু হওয়ায় দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির কারণে মহানগরীর নিচু রাস্তাগুলো এরই মধ্যে জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। কিন্তু কোথাও স্থায়ীভাবে বৃষ্টির পানি জমেনি। তবে এতে পথচারীদের দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে। বৃষ্টির কারণে সন্ধ্যার পর থেকে সড়কে যানবাহন চলাচলও কম দেখা গেছে।
শুক্রবার রাতে রাজশাহী আবহাওয়া অধিদফতরের পর্যবেক্ষক আবদুস সালাম বাংলানিউজকে জানান, শুক্রবার বিকেল ৪টা ৫৫ মিনিট থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত ৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। রাত ১২টা থেকে শনিবার ভোর ৬টা পর্যন্ত ৪ দশমিক ২ মিলিমিটার। বৃষ্টির কারণে রাজশাহীতে সকালে দেখা মেলেনি সূর্যের। একই সঙ্গে বেড়েছে শীতের তীব্রতাও। গত কয়েকদিন ধরে শীত একটু কম অনুভূত হলেও শনিবার তার তীব্রতা বাড়ছে।
পর্যবেক্ষক আবদুস সালাম আরও জানান, রাজশাহীতে শুক্রবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিলো ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর দিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিলো ১৪ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
বাংলাদেশ সময়: ০৮৪০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৯, ২০১৯
এসএস/এএটি