শনিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে নিহত ব্যক্তির মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে, শুক্রবার দিনগত রাত ৩টার দিকে ওই ইউনিয়নের পশ্চিম চরউরিয়া গ্রামের ইকবাল সর্দারের বাড়ি এলাকায় গণপিটুনির ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা বাংলানিউজকে জানায়, গত এক সপ্তাহ ধরে নোয়াখালী ইউনিয়নের চরউরিয়া, মন্নাননগর ও পার্শ্ববর্তী এজবালিয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন বাড়িতে প্রায় রাতে চুরি ও ডাকাতির ঘটনা ঘটে। দু’দিন আগে স্থানীয় লোকজনের উদ্যোগে ওই এলাকাগুলোতে পাহারার ব্যবস্থা করা হয়। প্রতিদিনের মত শুক্রবার গভীর রাতেও এলাকাগুলোর বিভিন্ন স্থানে পৃথকভাবে পাহারা বসায় স্থানীয়রা।
রাত তিনটার দিকে পশ্চিম চরউরিয়া গ্রামের আদর্শ কলোনির খলিল মিয়ার দরজা এলাকায় ১২-১৪ জনের একদল ডাকাত দেখতে পেয়ে তাদের ধাওয়া করে পাহারারত লোকজন। এসময় ডাকাত দল শাহজাহান নামের একজনকে ধরে পিটিয়ে জখম করে। পরে ইকবাল সর্দারের বাড়ি এলাকার একটি ক্ষেতের মধ্যে গিয়ে অজ্ঞাত (৪৫) এক ডাকাতকে আটক করে গণপিটুনি দেয় স্থানীয়রা।
নোয়াখালী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আতাউর রহমান নাছের জানান, গত এক সপ্তাহে অন্তত ৬টি বাড়িতে চুরি ও ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। ডাকাতি রোধে স্থানীয় লোকজন এলাকায় পাহারার ব্যবস্থা করে। স্থানীয় মাসুদ ডাকাতের নেতৃত্বে এসব ঘটনা ঘটছে বলে মারা যাওয়ার আগে স্থানীয়দের কাছে স্বীকার করেছে ওই ডাকাত।
সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, রাতে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহত ডাকাতকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে এলে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তবে নিহত ব্যক্তিকে স্থানীয় লোকজন শনাক্ত করতে পারেনি। এ ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করা হবে।
ওসি আরো জানান, ডাকাত মাসুদের বিরুদ্ধে থানায় একাধিক অভিযোগ রয়েছে। এর আগে তাকে কয়েকবার গ্রেফতার করা হয়েছিল। বর্তমানে সে এলাকার বাইরে থেকে এসে এসব ঘটনা ঘটাচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ১১২০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৯, ২০১৯/আপডেট: ১২৪০ ঘণ্টা
আরএ