গত ৫ ফেব্রুয়ারি সকালে স্কুল যাওয়ার জন্য চর লক্ষ্মীগঞ্জ গ্রামের বাড়ি থেকে বের হন দুই ছেলে ও এক কন্যা সন্তানের জনক আহমদ উল্লাহ। বিকেলে বাড়ি না ফেরায় তাকে খোঁজাখুঁজি শুরু হয়।
বুড়িচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকুল চন্দ্র বিশ্বাস বাংলানিউজকে বলেন, ৬ ফেব্রুয়ারি দুপুরে বুড়িচংয়ের বাকশিকুল ইউনিয়নের রেললাইনের পাশে একটি গাছের সঙ্গে গলায় মাফলার পেঁচানো মরদেহ দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। রাতে মরদেহের ছবি তুলে সোনাগাজী মডেল থানায় পাঠানোর পর পরিচয় জানা যায়। তবে সোনাগাজী থেকে কিভাবে লোকটি এখানে এলো তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
ঘটনাটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা তা ময়নাতদন্তের বিস্তারিত প্রতিবেদন পাওয়া গেলে জানা যাবে উল্লেখ করে ওসি বলেন, সোনাগাজী থানায় জিডি থাকায় এ ঘটনায় সেখানে মামলাও হবে।
সোনাগাজী মডেল থানার ওসি (তদন্ত) মো. কামাল হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, এ ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
আহমদ উল্লাহর স্ত্রী হোসনে আরা বেগম বাংলানিউজের কাছে দাবি করেন, কয়েকদিন আগে তার স্বামী জানিয়েছিলেন— স্কুলে কিছু টাকা-পয়সা নিয়ে সমস্যা চলছে। এজন্য তার চাকরি চলে যেতে পারে। এমনকি কারাগারে যেতেও হতে পারে। এর বাইরে এলাকার কারও সঙ্গে তার স্বামীর কোনো ধরনের বিভেদ নেই।
হোসনে আরা বলেন, ‘আমার স্বামীকে দুর্বৃত্তরা অপহরণ করে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে মরদেহ যেন না পাওয়া যায়, সেজন্য কুমিল্লার বুড়িচংয়ে নিয়ে রেললাইনের পাশে গাছের সঙ্গে বেঁধে রেখে দিয়েছে। ’
এ বিষয়ে যোগাযোগ করলে মাতুভুঞা করিম উল্যাহ উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্যদের সভাপতি আলমগীর হোসেন ও প্রধান শিক্ষক বিজন বিহারী ভৌমিক বাংলানিউজকে বলেন, ‘আহমদ উল্লাহর সঙ্গে স্কুলের বা কোনো শিক্ষকের আর্থিক বিষয় নিয়ে কোনো দ্বন্দ্ব ছিল না। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৯, ২০১৯
এসএইচডি/এইচএ/
** নিখোঁজের একদিন পর স্কুলশিক্ষকের মরদেহ উদ্ধার