শনিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে উপজেলার পাট্টা ইউনিয়ন পরিষদ এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। তিনি ওই ইউনিয়নের নিভা গ্রামের হাছেন মণ্ডলের ছেলে।
এ ঘটনায় পাংশা থানায় মামলা দায়ের এবং নির্যাতিত শিশুটির ডাক্তারি পরীক্ষার প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছেন পাংশা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহসান উল্লাহ।
মেয়েটির চাচা বাংলানিউজকে জানান, মেয়েটির বাবা-মা দু’জনেই কুষ্টিয়ায় থাকেন। সেখানে বাবা রিকশা চালান এবং মা একটি মেসে রান্নার কাজ করেন। মেয়েটি তার দাদির সঙ্গে পাংশায় গ্রামের বাড়িতে থাকে। প্রায় এক বছর ধরে মেয়েটির বাবা মাঝে মাঝে বাড়িতে এসে তাকে ধর্ষণ করে। বাধা দিয়েও বাবার হাত থেকে নিজেকে রক্ষা করতে পারেনি সে।
সর্বশেষ বৃহস্পতিবার (০৭ ফেব্রুয়ারি) তার বাবা বাড়ি এসে তাকে ধর্ষণ করে কুষ্টিয়া চলে যান। এরপর এ ঘটনা সে তার চাচাসহ এলাকার লোকজনদের কাছে বলে। পরদিন তার বাবা আবার বাড়ি এলে শনিবার (০৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে স্থানীয়রা তাকে মারধর করে পাট্টা ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে যান। সেখানে ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রব বিশ্বাস তার বাবাকে থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন।
পাংশা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহসান উল্লাহ্ জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রাজা মিয়া মেয়েকে ধর্ষণের দায় স্বীকার করেছেন। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি এবং ভিকটিমকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।
বর্তমানে অভিযুক্ত রাজা মিয়া পুলিশি হেফাজতে পাংশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৯, ২০১৯
আরএ