পিঠা উৎসবের দ্বিতীয় দিন শনিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) বৃষ্টির প্রভাবে প্রায় ফাঁকা কলেজ ক্যাম্পাস। যেখানে থাকার কথা পিঠার ঘ্রাণ সেখানে এলোমেলো সবকিছু।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি গত কয়েক বছর ধরে পিঠা উৎসব আয়োজন করে আসছে। পঞ্চগড়ের সাধারণ মানুষের মিলনমেলায় পরিণত হয়েছে এ পিঠা উৎসব। এজন্য বছর ধরে অপেক্ষা করেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষ।
স্বাধীন নামে এক শিক্ষার্থী বাংলানিউজকে বলেন, ‘প্রতিবছর এ পিঠা উৎসবে আমরা পিঠার স্টল নিয়ে বসি। বন্ধু-বান্ধবদের নিয়ে অনেক আনন্দ করি। কিন্তু এ বছর বৃষ্টির কারণে উৎসবে লোকসান গুণতে হবে। ’
রণি মিয়াজী নামে আরেক শিক্ষার্থী বলেন, ‘পিঠা উৎসবে হারিয়ে যাওয়া গ্রাম বাংলার শতাধিক পিঠা-পুলি প্রদর্শন ও বিক্রির জন্য তুলে ধরা হয়েছে। কিন্তু গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিতে প্রায় সবকিছু এলোমেলো করে দিয়েছে। বৃষ্টির কারণে এবারে তেমনভাবে পিঠা উৎসবে ভিড় দেখা যাচ্ছে না। ’
শিক্ষার্থী আফরোজা বাংলানিউজকে বলেন, ‘পিঠা উৎসবকে ঘিরে প্রতিবার সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ কলেজ থেকে অনেক আয়োজন করা হয়। এবারেও আয়োজন করা হয়েছিল। কিন্তু বৃষ্টিতে সব লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে। ’
এর আগে শুক্রবার দুপুরে রেলমন্ত্রী অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম সুজন কলেজ ক্যাম্পাসের বটমূল চত্বরে এসে দুই দিনব্যাপী এ পিঠা উৎসবের উদ্বোধন করেন।
উৎসবে বাহারি পিঠাপুলির রকমারি প্রদর্শনী ও বিকিকিনির জন্য কলেজ মাঠে বিভিন্ন বিভাগ ও বিভিন্ন শ্রেণির শিক্ষার্থীরা ৩০টি স্টল বসিয়েছে। কলেজের শিক্ষার্থীরা দৃষ্টিনন্দন করে পিঠার স্টলগুলো সাজিয়েছেন এবং নিজেরাই বিভিন্ন পিঠা তৈরি করে নতুন নাম দিয়েছেন।
কুটুমবাড়ি, রসের হাঁড়ি, রূপসী বাংলা, অমরাবতী, পৌষপার্বণ, পিঠাঞ্জলি, বিপ্রতীপ, আবহমান, রংধনু, বর্ণালি স্বপ্নছোঁয়া, রূপশ্রী, অনুরণন, ফাল্গুনীসহ বিভিন্ন নামে কলেজ মাঠে শিক্ষার্থীদের পিঠা স্টলের নামকরণ করা হয়েছে।
এসব স্টলে হৃদয়হরণ, ডিম পাতোয়া, নকশি পিঠা, সুইট বল, কালাই পিঠা, গোলাপ পিঠা, বিস্কুট পিঠা, পেনসিল পিঠা, তারা পিঠা, কাঁচকলা ওমলেট, মাছ পিঠা, হাঁস পিঠা, সাবুদানা পিঠা, তিলাবর্তী পিঠা, কামরাঙা পিঠা, আপেল পিঠাসহ বাহারি নামের পিঠা শোভা পায়।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৯, ২০১৯
জিপি