ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

‘ভূমি কুতুব’সহ ২ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট অনুমোদন

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১৪৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০১৯
‘ভূমি কুতুব’সহ ২ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট অনুমোদন আটকের সময় কুতুব উদ্দিন আহমেদ | বাংলানিউজ ফাইল ছবি

ঢাকা: সাবেক ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ ডিলুর ব্যক্তিগত কর্মকর্তা কুতুব উদ্দিন আহমেদ ওরফে ‘ভূমি কুতুব’র বিরুদ্ধে করা দুর্নীতির মামলায় চার্জশিট অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

কুতুব উদ্দিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি সরকারি কর্মকর্তা হওয়া সত্ত্বেও ভুয়া আমমোক্তারনামার মাধ্যমে গুলশানে ১০ কাঠার একটি প্লট তার শ্বশুরসহ কয়েকজনের নামে বরাদ্দ করেন।

বৃহস্পতিবার কমিশন সভায় মামলাটির চার্জশিটের অনুমোদন দেওয়া হয় বলে শনিবার (৯ ফ্রেবুয়ারি) নিশ্চিত করেছে দুদক সূত্র।

মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, কুতুব উদ্দিন একজন পাবলিক সার্ভেন্ট হিসেবে অসৎ উদ্দেশ্যে পরস্পর যোগসাজশে প্রতারণা, অপরাধজনক বিশ্বাসভঙ্গ ও ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন। এই অপব্যবহার ও প্রাতরণার মাধ্যমে প্রকৃত মালিক না হওয়া সত্ত্বেও নাজমুল ইসলাম সাঈদকে মালিকের প্রতিনিধি হিসেবে ভুয়া আমমোক্তার সাজিয়ে ১১ আগস্ট, ২০০৪ তারিখে গুলশান সাব রেজিস্ট্রি অফিসের সাব কবলা (দলিল নং-১২৮২৪) সম্পাদন করেছেন।

মূলত, রাজউকের হুকুম দখলকৃত গুলশান থানার ভোলা মৌজার সিএস-৯৮ নং খতিয়ানের সিএস ও এসএ ৪৫৭ নং দাগের ৫৪ দশমিক ৫০ শতাংশ জমির মধ্যে ১৬ দশমিক ৫০ শতাংশ (১০ কাঠা) জমি (যার প্লট নং -২০ , রোড নং-২০/এ গুলশান আবাসিক এলাকা, গুলশান , ঢাকা-১) শ্বশুর ও অন্যদের নামে ক্রয় দেখিয়ে আত্মসাৎ করেছেন। এই অভিযোগে আসামিদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলার চার্জশিট অনুমোদন দিয়েছ দুর্নীতি দমন কমিশন।

কুতুব উদ্দিনের শ্বশুর আব্দুল জলিল মৃধার নামে এই জমি কেনা হলেও তিনি কখনও জমির ভোগদখল করেননি। শুরু থেকেই মো. কুতুব উদ্দিন এ জমি ভোগদখল করে আসছেন। বর্তমানে ওই জমিতে সপরিবারে বসবাস করছেন তিনি।

অপরদিকে ওই জমির কথিত আমমোক্তার নাজমুল ইসলাম সাঈদ রাজউকের সম্পত্তি জানা সত্ত্বেও কুতুব উদ্দিনের সাথে যোগসাজশে ভুয়া মালিক তথা ভুয়া আমমোক্তার বলে বিক্রেতা সেজে জমি বিক্রয় দেখিয়ে তা আত্মসাতে সহায়তা করেন এবং আর্থিকভাবে লাভবান হন।

এছাড়া ভূমি আত্মসাৎ প্রক্রিয়ায় আসামি কুতুব উদ্দিন ওরফে ভূমি কুতুবের শ্বশুর সহযোগী হিসেবে জড়িত থাকেলেও তিনি ইতোমধেই মৃত্যুবরণ করায় তাকে আইনের আওতায় আনার সুযোগ নেই।

শিগগিরই মামলার চার্জশিট সংশ্লিষ্ট আদালতে দাখিল করা হবে বলেও জানিয়েছে দুদক সূত্র।

গত বছরের ৮ জুন, গুলশান মডেল থানায় (মামলা নং-০৬) কুতুব উদ্দিনের বিরুদ্ধে প্রাথমিক তদন্তে অভিযোগের প্রমান পেয়ে মামলা করেন দুদকের উপ-পরিচালক মীর্জা জাহিদুল আলম। তিনি এ মামলার প্রদান তদন্তকারী কর্মকর্তা হিসেবেও কাজ করছেন।

এরপর দুদক সেগুন বাগিচা এলাকা থেকে আটক করে আদালতে পাঠিয়েছিলো কুতুবকে। বেশ কিছুদিন হাজতে থাকার পর জামিনে বের হয়ে আসেন তিনি।

আগের নিউজ
দুদকের হাতে গ্রেফতার ‘ভূমি কুতুব’

বাংলাদেশ সময়: ২০৩৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৯, ২০১৯
আরএম/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।