রোববার (১০ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত মধ্যরাতে উপজেলার শমসপুর ইউনিয়নের সন্তোষপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে নাঈম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন বলে নিশ্চিত করেছেন খোকসা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এবিএম মেহেদী মাসুদ।
তিনি জানান, বেশ কিছুদিন ধরেই মজিবুর রহমানের বড় মেয়ের বড় ছেলে নাঈম এবং তার মেঝ ছেলে মাসুদের স্ত্রী সামিয়ার মধ্যে অবৈধ সম্পর্ক চলছিল। এতে তিনি তাদের বাধা দিতেন। রোববার রাতে নাঈম ঢাকা থেকে নানা বাড়ি আসেন। মেজ মামা মাসুদের অনুপস্থিতিতে নাঈম তার মামির সঙ্গে অসামাজিক কাজে লিপ্ত হন।
এসময় নানা মজিবুর রহমান দেখে ফেললে বিষয়টি প্রকাশ হয়ে যাওয়ার ভয়ে নাঈম ও তার মামি মজিবুর রহমানকে ঘর থেকে টেনে বারান্দায় বের করে আনেন। পরে নাঈম ধারালো ছুরি দিয়ে তার বুকে আঘাত করে পালিয়ে যান। বাড়ির অন্যরা মজিবুর রহমানকে উদ্ধার করে খোকসা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
খবর পেয়ে পুলিশ রাতেই নাঈমের নিজবাড়ী কুমারখালী থেকে তাকে আটক করে, এবং তার স্বীকারোক্তি অনুয়ায়ী নিহত মজিবুর রহমানের বাড়ি থেকে তার পুত্রবধূ সামিয়াকে আটক করে।
ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান ওসি।
বাংলাদেশ সময়: ১২২৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০১৯
আরএ