বিষয়টি এতদিন সবার অগোচরেই ছিল। কিন্তু সদ্য সমাপ্ত রাজশাহী পুষ্পমেলায় তা নজরে আসে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে নার্সারি মালিকরা জানান, বগুড়ার মহাস্থানগড় এলাকার দিয়া নার্সারি থেকে তারা পপি ফুলের চারা নিয়ে আসেন। পরে এখানে চাষ করেন। সাধারণত শীত মৌসুমেই এই পপি ফুল চাষ করা হয়। তবে মাদকদ্রব্য তৈরির জন্য নয়, বিক্রির জন্য চাষ করেন তারা।
রাজশাহী মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক (ডিডি) মোহাম্মদ লুৎফর রহমান জানান, তারা ঠিক বলছেন কি না সেটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে বিক্রির জন্য চাষ করুন বা না-ই করুন পপি চাষ নিষিদ্ধ তাই কয়েকটি নার্সারিতে অভিযান চালিয়ে এই ফুলের গাছ ধ্বংস করা হয়েছে।
এর মধ্যে মহানগরীর অভিজাত ভদ্রা আবাসিক এলাকার সেবা নার্সারিতে দুই প্রজাতির পপি ফুলের চারা পাওয়া গেছে। এছাড়া শহরের পাশেই থাকা পবা উপজেলার ভুগরইল এলাকার রুচিতা নার্সারিতেও দুই প্রজাতির পপি ফুলের চারা পাওয়া যায়। পরে সেগুলোও ধ্বংস করা হয়।
লুৎফর রহমান বলেন, গত সপ্তাহে রাজশাহী বৈকালী সংঘ আয়োজিত পুষ্পমেলার কয়েকটি স্টলের মাধ্যমে তারা পপি ফুল চাষের সন্ধান পান। এর পর পরই তারা অভিযান পরিচালনা করেন।
মোহনীয় সুন্দরের প্রতীক এই পপির ফল থেকেই সর্বনাশা মাদক আফিম, হেরোইন ও মরফিন তৈরি হয়। এজন্য বিষয়টি সামনে আসার পর তারা আরও সতর্ক হয়েছেন। এর চাষ রোধে বর্তমানে কাজ করছেন বলেও জানান মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের ঊর্ধ্বতন এই কর্মকতা।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০১৯
এসএস/আরআর