সোমবার (১১ ফেব্রুয়ারি) দুপুর সোয়া ২টায় গোপালগঞ্জ জেলা শহরের শেখ ফজলুল হক মণি স্টেডিয়ামে জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়।
গোপালগঞ্জ জেলা কোর্ট মসজিদের ইমাম মুফতি মো. হাফিজুর রহমান জানাজার নামাজে ইমামতি করেন।
জানাজার নামাজে গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোখলেসুর রহমান সরকার, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি চৌধুরী এমদাদুল হক, সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব আলী খান, প্রধানমন্ত্রীর অ্যাসাইনমেন্ট কর্মকর্তা গাজী হাফিজুর রহমান লেকু, বঙ্গবন্ধু কলেজের অধ্যক্ষ মো. মতিয়ার রহমান, জেলা যুবলীগের সভাপতি জি এম সাহাবুউদ্দিন আযম, সাধারণ সম্পাদক এমবি সাইফ বি, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আব্দুল হামিদ, সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রফিকসহ জেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণীপেশার হাজার হাজার মানুষ অংশ নেন।
জানাজা শেষে গোপালগঞ্জ শহরের নবীনবাগস্থ পৌর করবস্থানে গোপালগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুব হাসান বাবু ও গোপালগঞ্জ সদর থানা যুবলীগের সহ-সভাপতি মো. সাদিকুল আলম সাদিক, শহরের গেটপাড়া পৌর কবরস্থানে জেলা ছাত্রলীগের উপ- ছাত্রবৃত্তি বিষয়ক সম্পাদক অলিদ মাহমুদ উৎস, গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার ডুমুদিয়া কবরস্থানে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা ছাত্রলীগের স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক অনিমুল গাজী ও ফকিরকান্দি কবরস্থানে জেলা ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক সাজু আহমেদকে দাফন করা হয়।
এদিকে, সোমবার বাদ আছর সরকারি বঙ্গবন্ধু কলেজ মসজিদে নিহতদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে।
এছাড়া মঙ্গলবার জেলা ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে নিহতদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে।
বুধবার প্রধানমন্ত্রীর অ্যাসাইমেন্ট কর্মকর্তা গাজী হাফিজুর রহমান লিকুর থানাপাড়ার বাসায় নিহতের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে।
রোববার রাতে খুলনার রূপসা সেতু বাইপাস সড়কের খাজুর বাগান এলাকায় ট্রাক ও প্রাইভেটকারের মধ্যে সংর্ঘষের ঘটনায় গোপালগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগ ও যুবলীগের ৫ নেতা নিহত হন। সোমবার ভোরে তাদের মরদেহ খুলনা থেকে গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে আনা হয়। পরে সকাল সাড়ে ৭টার পর একে একে নিহতদের মরদেহ পরিবারের কাছে পাঠানো হয়।
নিহতরা হলেন- গোপালগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও শহরের সবুজবাগ এলাকার অ্যাডভোকেট আব্দুল ওয়াদুদ মিয়ার ছেলে মাহবুব হাসান বাবু, একই এলাকার মৃত আলাউদ্দিন সিকদারের ছেলে ও গোপালগঞ্জ সদর থানা যুবলীগের সহ-সভাপতি মো. সাদিকুল আলম সাদিক, শহরের চাঁদমারী এলাকার অহিদ গাজীর ছেলে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা ছাত্রলীগের স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক অনিমুল গাজী, শহরের থানারপাড়ার গাজী মিজানুর রহমান হিটুর একমাত্র ছেলে ও প্রধানমন্ত্রীর অ্যাসাইনমেন্ট অফিসার গাজী হাফিজুর রহমান লিকুর ভাতিজা জেলা ছাত্রলীগের উপ- ছাত্রবৃত্তি বিষয়ক সম্পাদক অলিদ মাহমুদ উৎস ও শহরের গেটপাড়ার আলমগীর হোসেনের ছেলে ও জেলা ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক সাজু আহমেদ।
নিহতদের মধ্যে ৪ জন গোপালগঞ্জ সরকারি বঙ্গবন্ধু কলেজের ছাত্র ছিলেন।
** ছাত্র-যুবলীগের ৫ নেতার বাড়িতে শোকের মাতম
** খুলনায় সড়ক দুর্ঘটনায় ছাত্র-যুবলীগের ৫ নেতা নিহত
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫০, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০১৯
আরএ