বলা হচ্ছে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের সিবিএ নেতা সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও শ্রমিক লীগ নেতা আলাউদ্দীন মিয়ার কথা।
বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের অবসরপ্রাপ্ত এই তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারীর দখল থেকে অবৈধভাবে ব্যবহৃত সরকারের সেই পাজেরোটি সোমবার (১১ ফেব্রুয়ারি) উদ্ধার করেছে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) একটি দল।
রাজধানীর মতিঝিল এলাকা থেকে দুদকের এনফোর্সমেন্টের একটি দল গাড়িটি উদ্ধার করে। দুদকের সহকারী পরিচালক সালাউদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে ৫ সদস্যের দলটি এ অভিযান চালায়।
দুদকের মহাপরিচালক মোহাম্মদ মুনীর চৌধুরী সাংবাদিকদের জানান, একটি অভিযোগের ভিত্তিতে ওই গাড়িটি উদ্ধার করা হয়। গাড়ি উদ্ধারের সময় এর চালক ছাড়া কেউ ছিলেন না। চালকের বক্তব্য রেকর্ড করে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। আলাউদ্দিন মিয়া পিডিবি'র সিবিএর সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
তিনি বলেন, গাড়িটি পিডিবির নামে বরাদ্দ থাকলেও ওই কর্মচারী কোনোভাবেই ব্যবহার করতে পারেন না। তারপর তিনি ২০১৭ সালেই অবসরে গেছেন।
২০০৯ সাল থেকে আলাউদ্দীন গাড়িটি ব্যবহার করছেন জানিয়ে মুনীর চৌধুরী বলেন, গাড়িটির পেছনে প্রতিমাসে ৪৫০ লিটার তেল ব্যবহার হয়েছে; নয় বছরে তেল বাবদ ৩৫ লাখ টাকার বেশি অর্থ ব্যয় হয়েছে। এছাড়া এই সময়ে ৩৭ লাখ টাকা গাড়ির চালকের বেতন বাবদ ব্যয় হয়েছে।
দুদকের আওতাভুক্ত এটি একটি ‘বড় অপরাধ’ হিসেবে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘তৃতীয় শ্রেণীর একজন কর্মচারীর নামে গাড়িটি কীভাবে বরাদ্দ দেওয়া হলো, এর সঙ্গে পিডিবি বা অন্য কোনো অফিসের যারা জড়িত তা অনুসন্ধানের মাধ্যমে বেরিয়ে আসবে। তখন সেই অনুসন্ধানের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে’।
এ ঘটনায় মামলা করার যথেষ্ট কারণ রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা অনুসন্ধান করবো, ওই কর্মচারীর সম্পদও খতিয়ে দেখা হবে। অনুসন্ধানের স্বার্থে গাড়িটি দুদকে আনা হয়েছে’।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে মুনীর চৌধুরী বলেন, অভিযোগ পেলে সরকারের পরিবহনপুলের এ ধরনের অপব্যবহার হচ্ছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হবে।
আলাউদ্দিন মিয়া ২০১৭ সালের আগস্টে অবসরে যান। তিনি তখন পিডিবির নকশা ও পরিদর্শন পরিদপ্তরের স্টেনো টাইপিস্ট পদে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। গত আগস্টে তার অবসরোত্তর ছুটির (পিআরএল) সময়সীমাও শেষ হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০১৯
আরএম/জেডএস