ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

বসন্ত এলো বলে...

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮০৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০১৯
বসন্ত এলো বলে... ফুলের গন্ধে মেতেছে তরুণ-তরুণী, ছবি: শাকিল আহমেদ

ঢাকা: শীত শেষে এসেছে ঋতুরাজ বসন্ত। ফাগুনের প্রথম দিনে যেনো আগুন লেগছে সবার মনে। সব জরা ভেঙে প্রকৃতি নিজেকে রাঙিয়েছে নতুন রঙে। তাই বলে বসন্তবরণে মেতেছেন তরুণ-তরুণীরা।

হাতে হলুদ গাঁদা, গায়ে বাসন্তী পাঞ্জাবি-সালোয়ার এবং শাড়ি পরে সেজেছেন অনেক তরুণ-তরুণী। এক মুহূর্তের জন্য যেনো তারা সব ব্যস্ততা ভুলে মেতেছেন আন্দন্দের জোয়ারে।

লাল, হলুদ, সবুজ, বেগুনি, কমলা বা সাদা রঙে নিজেদের সাজিয়েছেন বাসন্তী সাজে। এসেছে শিশুরাও মা-বাবার হাত ধরে।

একদিন পরে ১৪ ফেব্রুয়ারি ভালোবাসা দিবস। আর ১৩ ফেব্রুয়ারি পহেলা ফাল্গুন। দোয়েল চত্বর ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলার বকুলতলায় বুধবার সকাল থেকেই তরুণ-তরুণীদের ভিড়। শাহবাগ-টিএসসি সড়কেও এ ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। বয়সের ভেদাভেদ ও মত ভুলে সবাই বসন্তে একাকার হয়েছেন।

যেকোনো উৎসবে ফুলের বিশেষ চাহিদা। সেটা ১৩ ফেব্রুয়ারিও। শাহবাগ মোড় ফুলের দোকানগুলোতে সকাল থেকে ফুলের বাড়তি চাহিদা দেখা যায়। প্রিয়জনদের হাতে ফুল তুলে দিতে এখানে ভিড় করছেন আবার অনেক। নিচ্ছেন পছন্দের ফুল। এছাড়া প্রতি বছরের মতো এবারও চাহিদা মাথায় রেখে ব্যাপক পরিমাণ ফুল আগে থেকেই দোকানে তুলেছেন ব্যবসায়ীরা।

এ বছর ফুলের বিক্রি কেমন- প্রশ্নের জবাবে শহবাগের ফুল বিক্রেতা মনোয়ার হোসেন মিন্টু বাংলানিউজকে বলেন, তরুণ-তরুণীরা ফুল কিনতে বেশি আগ্রহী। আজ ও কাল ফুলের চাপ থাকবে অনেক বেশি। তাছাড়া ফুল শৌখিন মানুষেরাই কেনেন। সেইসঙ্গে বিভিন্ন দলের সভা-সেমিনারের জন্যও ফুল নিতে আসেন অনেকে।

ফুলের দাম এবার একটু বেশি মনে হচ্ছে- এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, চাহিদা বেশি হওয়ায় আমাদেরও পাইকারদের কাছে থেকে বেশি দামে ফুল কিনতে হয়েছে। তবে সবাই কিনতে পারবে, এমন দামেই বিক্রি করছি। বেশি দাম বললে তো কেউ কিনবে না। দেখছেনই তো আপনার সামনেই ফুল কিনে নিচ্ছে সবাই। ফুলের দোকানে তরুণ-তরুণীদের ভিড়, ছবি: শাকিল আহমেদকী ধরনের ফুল তরুণ-তরুণীদের আকৃষ্ট- এ প্রশ্নে সানফ্লাওয়ার শপের বিক্রেতা ভূঁইয়া আনিসুজ্জামান বাংলানিজকে বলেন, চাইনিজ বেলি (কাঠ বেলি), গোলাপ, রজনীগন্ধা, লিলি, গাঁদা, জারবেরা, অর্কিড, চাইনিজ রোজ-ইন্ডিয়ান রোজ, গ্ল্যাডিওলাস, জিপসি (বুনোফুল) এসব ফুল বিক্রি করি আমরা। তবে তরুণ-তরুণীরা গোলাপ আর গাঁদা নেন বেশি। গোলাপ গিফট দেন আর গাঁদার মালা খোঁপায়।

শাহবাগে ফুল কিনতে আসা সোহেলী আক্তার সম্পা ও তার বন্ধু রুবেল দোকানে দোকানে ঘুরে ঘুরে ফুল কিনছিলেন। গাঁদা ও গোলাপের দিকেই নজর তাদের। কী ফুল কিনলেন জানতে চাইলে সম্পা বাংলানিউজকে বলেন, গোলাপ আমার প্রিয় ফুল। খোঁপায় দেওয়ার জন্য ফুলের মালা নেবো; আর গোলাপ। তবে দামটা একটু বেশি মনে হচ্ছে।

রামপুরা থেকে আসা অনন্যা রহমানও গোলাপ কিনছেন। তিনি বলেন, রেড রোজ আমার পছন্দের। ভালোবাসা দিবস বলেন আর বসন্ত। ফুল মানেই আমার কাছে গোলাপ। আমি সব সময় বেজোড় সংখ্যায় গোলাপ কিনি। আজ ১৩ তারিখ, তাই ১৩টি গোলাপ কিনবো।

শাহবাগ ফুল ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মতিউর রহমান বাংলানিউজকে বলেন,  প্রতিবছরই ফুলের চাহিদা থাকে। এবারও আছে। ফুল সবসময় নতুন ও তরুণদের কাছে টানে। অনেক দূর থেকে এই ফুলগুলো আমাদের কিনে নিজস্ব খরচে পরিবহন করে এখানে আনতে হয়। তাই একটু দাম বাড়তি মনে হতে পারে ক্রেতাদের কাছে। আমরাও চাই সবাই কিনতে পারে- এমন দামেই রাখতে।

বাংলাদেশ সময়: ১২৫৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০১৯
ডিএসএস/টিএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।