ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

‘বাবাকে ওয়াদা দিয়ে জীবনে একবারও সিগারেট খাইনি’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৪৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০১৯
‘বাবাকে ওয়াদা দিয়ে জীবনে একবারও সিগারেট খাইনি’

ঢাকা: ধুমপানের বিরুদ্ধে প্রচারণার তাগিদ দিয়ে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ জানিয়েছেন, ব্যক্তিজীবনে তিনি কখনো সিগারেট টানেননি। বাবার কাছে দেওয়া ওয়াদা রেখেই তিনি ধুমপান থেকে বিরত থেকেছেন।

বুধবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বেলা দেড়টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে তামাকবিরোধী সংগঠন প্রজ্ঞা আয়োজিত ‘তামাকমুক্ত বাংলাদেশ অর্জনে অগ্রগতি, বাঁধা ও করণীয়’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তথ্যমন্ত্রী এ কথা জানান।  

হাছান মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশে তামাক নিয়ন্ত্রণে অনেক আইন রয়েছে।

কিন্তু সে আইনের যথাযথ প্রয়োগ হয় না। তবে গত একদশকে বাংলাদেশে ধুমপায়ীর সংখ্যা কমেছে। শুধু ধুমপানবিরোধী ক্যাম্পেইন নয়, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও এর ক্ষতিকারক দিকের প্রচারণা চালাতে হবে।

নিজে ধুমপান না করার বিষয়টি তুলে ধরে তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমার বাবা অনেক সিগারেট খেতেন। একবার ডাক্তার বাবাকে বললেন, এরকম সিগারেট খেতে থাকলে আপনার ক্যান্সার হবে। বাড়িতে এসে বাবা আমাকে ডেকে বললেন, প্রতিজ্ঞা করো, জীবনে সিগারেট খাবে না। বাবাকে ওয়াদা দেওয়ার কারণেই জীবনে একটিবারও সিগারেট খাইনি। তবে আমার বন্ধু-বান্ধব অনেক চেষ্টা করেছে, তারা সিগারেট খাওয়াতে সফল হতে পারেনি। যারা সিগারেট খায় না, তাদের পুরস্কৃত করা উচিত।  

যে কোনো উন্নত জাতি গঠনে সম্মিলিত প্রয়াস প্রয়োজন উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, শুধু মেধাবী মানুষ হলে উন্নত দেশ গঠন করা যায় না। একইসঙ্গে মানুষের মাঝে দেশাত্মবোধ ও মমত্মবোধ থাকতে হয়, এতেই উন্নত জাতি গঠন করা সম্ভব হয়।  

তিনি বলেন, শুধু ঢাকা শহর নয়, পৃথিবীর সব শহরেই জ্যাম রয়েছে। জ্যামের কারণে একবার লন্ডনে ফ্লাইট মিস করেছি। নিউইয়র্কে যান সেখানেও জ্যাম পাবেন। ইউরোপে সড়ক দুর্ঘটনা হয়, কিন্তু কেউ ফিরেও তাকায় না। সেটাকে উন্নত দেশ বলতে পারবো, কিন্তু উন্নত জাতি বলতে পারবো না। সেই তুলনায় আমরা অনেক উন্নত জাতি।  

আইন অমান্য করে ‘দেবী’ চলচ্চিত্র প্রদর্শনের ব্যাপারে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, এটা আমি খোঁজ নিয়ে দেখবো। কেউ যদি আইন অমান্য করে প্রদর্শন করে, তাহলে সবার উচিত তাদের সহযোগিতা না করা।  

সাংবাদিক মোজাম্মেল হোসেনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্য সচিব আসাদুল ইসলাম। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) সিনিয়র রিসার্চ ফেলো ড. নাজনীন আহমেদ। প্রধান আলোচক ছিলেন গবেষক ড. মাহফুজ কবীর। সাংবাদিক নাদিরা কিরণের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রজ্ঞার কো-অর্ডিনেটর হাসান শাহরিয়ার।  

বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০১৯
টিএম/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।