বুধবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মুহাম্মদ আবদুর রহিম আসামিদের অনুপস্থিতিতে এ রায় দেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি নিহতের শ্যালক মোয়াজ্জেম হোসেন মজু।
মামলার বিবরণে জানা যায়, কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার মান্দারকান্দি গ্রামের কৃষক আখতারুজ্জামান তার মামাতো বোন একই গ্রামের সেলিনাকে বিয়ে করেন। পারিবারিক কলহের কারণে ২০১২ সালের ২৬ জুলাই স্ত্রী সেলিনা বাবার বাড়িতে চলে যান। আখতারুজ্জামান পরদিন দুপুরে স্ত্রীকে ফিরিয়ে আনতে গেলে তার শ্যালকদের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে শ্যালক মোয়াজ্জেম হোসেন মজু, মোবারক, আজিজুল হক আরজু ও চাচাতো শ্যালক আরমান ছুরিকাঘাত ও শাবল দিয়ে আখতারুজ্জামানকে আঘাত করেন। এতে আখতারুজ্জামান গুরুতর আহত হন। তাকে উদ্ধার করে বাজিতপুর জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এরপর নিহতের বড় ভাই শেখ রুহুল আমীন বাদী হয়ে পাকুন্দিয়া থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা চলাকালে আসামি আজিজুল হক আরজু মারা যান। মামলার তদন্ত শেষে পুলিশ চার আসামির বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দেন। মামলার দীর্ঘ শুনানি শেষে অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় দুপুরে আদালত এ রায় দেন।
মামলাটি পরিচালনা করেন পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট শাহ আজিজুল হক ও সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) অ্যাডভোকেট মো. হুমায়ুন কবির। আসামি পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট এবিএম লুৎফর রাশিদ রানা।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০১৯
এনটি