বুধবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে উপজেলার দক্ষিণ চাকমারকুল এলাকায় এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এ সময় রুনাইছা রামু উপজেলার দক্ষিণ চাকমারকুল এলাকার ছানা উল্লাহর মেয়ে।
স্থানীয় বাসিন্দা কৃষি ব্যাংকের কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ জানান, দক্ষিণ চাকমারকুল এলাকার ছানা উল্লাহর বাড়িতে বৈদ্যুতিক শট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হলে তা মুহূর্তের মধ্যে আশপাশের ঘরে ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় ছানা উল্লাহর ঘরের ভেতরে একটি কক্ষে দেড় বছরের শিশু রুনাইছার মৃত্যু হয়। অগ্নিকাণ্ডে চারটি বসত বাড়ি পুড়ে গেছে। এতে প্রায় ৫০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ির মালিকরা হলেন- রামু উপজেলার দক্ষিণ চাকমারকুল এলাকার মৃত বদরুজ্জামানের ছেলে মো. ইসলাম মিস্ত্রী, মো. ইসলাম মিস্ত্রীর ছেলে ব্যবসায়ী ছানা উল্লাহ, আবদু শুক্কুর কালু ও কলিম উল্লাহ।
রামু ফায়ার সার্ভিসের সদস্য ওবাইদুল হক বাংলানিউজকে জানান, খবর পেয়ে কক্সবাজার এবং রামু সার্ভিসের কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেন। তবে যাতায়াতের পথ না থাকায় ঘটনাস্থলে পৌঁছতে বিলম্ব হয়েছে। যে কারণে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বেড়েছে।
অগ্নিকাণ্ডের পরপরই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করছেন রামু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. লুৎফুর রহমান, রামু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবুল মনসুর, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আলী হোসেন, কক্সবাজার জেলা পরিষদ সদস্য নুরুল হক কোম্পানি ও চাকমারকুল ইউনিয়নের (ইউপি) চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম সিকদার।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে ক্ষতিগ্রস্ত চার পরিবারকে ২০ হাজার টাকা করে মোট ৮০ হাজার টাকা অর্থ সহায়তা দেন ইউএনও লুৎফুর রহমান।
রামু থানার ওসি মনসুর বাংলানিউজকে জানান, ঘটনাটি খুবই নির্মম। অগ্নিকাণ্ডের সময় নিহত শিশুর বাবা-মা ঘরে ছিল না। আগুন বেড়ে যাওয়ায় শিশুটিকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০১৯
এসবি/আরআইএস/