ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

ভোটার দিবস উদযাপনে অংশ নেবেন রাষ্ট্রপতি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২৩৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০১৯
ভোটার দিবস উদযাপনে অংশ নেবেন রাষ্ট্রপতি রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ/ফাইল ফটো

ঢাকা: আগামী ১ মার্চ প্রথমবারের মতো ভোটার দিবস উদযাপন করবে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন (বিইসি)। কেন্দ্রীয় কর্মসূচি অংশ হিসেবে আলোচনা সভায় ওইদিন উপস্থিত থাকতে সম্মতি দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ।

নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ভোটার দিবস উদযাপনের কর্মপরিকল্পনা থেকে জানা যায়, প্রথমবার অনুষ্ঠেয় এ দিবস উদযাপনের প্রতিপাদ্য বিষয় হচ্ছে-‘ভোটার হবো, ভোট দেবো’।
 
১ মার্চ বিকেল ৪টায় নির্বাচন ভবনের অডিটরিয়ামে কেন্দ্রীয় আলোচনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন রাষ্ট্রপতি।

আর বিশেষ অতিথি হিসেবে থাকবেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক।
 
ভোটার দিবসে সারাদেশেই জেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধায়নে নানা কর্মসূচি সকাল থেকে পালন করা হবে। উপজেলা জেলা থেকে সব পর্যায়েই সকালে থাকবে র‌্যালি। ঢাকায় সকাল ৯টায় র‌্যালি শুরু হবে। জাতীয় সংসদ ভবনের সামনে থেকে শুরু হয়ে আগারগাঁওয়ের বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এসে এটি শেষ হবে।
 
ইতোমধ্যে দিবসটি সফল করতে কেন্দ্র, বিভাগ, অঞ্চল জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে পাঁচটি কমিটি গঠন করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
 
কেন্দ্রীয় কমিটিতে নির্বাচন কমিশন সচিবকে সভাপতি ও একজন উপ-সচিবকে সদস্য সচিব করে ২৮ সদস্যের কমিটি কাজ করবে।
 
বিভাগীয় কমিশনারের সভাপতিত্বে ২৭ সদস্যের কমিটি বিভাগীয় পর্যায়ে কাজ করবে। আঞ্চলিক পর্যায়ে কাজ করবে আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার সভাপতিত্বে ২৪ সদস্যের কমিটি। জেলায় কাজ করবে জেলা প্রশাসকের সভাপতিত্বে ৩০ সদস্যের কমিটি। আর ২৫ সদসদ্যের কমিটি উপজেলা চেয়ারম্যানের সভাপতিত্বে উপজেলা পর্যায়ে কাজ করবে।
 
কেন্দ্রীয় কমিটি ছাড়া অন্য চার কমিটি দিবসটি উদযাপনে কর্মসূচি প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করবে। এক্ষেত্রে কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে আলোচনাসভার আয়োজন, ব্যানার, ফেস্টুন ও লিফলেট ইত্যাদি প্রদর্শন, র‌্যালি আয়োজন, উপজেলা পর্যায়ের সব কর্মকর্তাদের উপস্থিতি নিশ্চিতকরণ, গণসচেতনতা সৃষ্টিতে মসজিদ, মন্দিরসহ ধর্মীয় উপসনালয়কে সম্পৃকরণ ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সম্পৃক্তকরণ ইত্যাদি রয়েছে কমিটিগুলোর কার্যপরিধির মধ্যে।
 
আর কেন্দ্রীয় কমিটি নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনায় সব দফতরের সঙ্গে সমন্বয় করে কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন ও সার্বিক তত্ত্বাবধায়ন করবে।
 
ইসি কর্মকর্তারা জানান, ভারতে ২০১১ সালে প্রথম যখন ভারত ভোটার দিবস পালন করে তরুণদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলে দেয়। সেবছর ৫২ লাখ তরুণকে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়। এছাড়া সব মিলিয়ে অন্তর্ভুক্ত করা হয় প্রায় ১ কোটি ৭০ লাখ নতুন ভোটার।
 
আমাদের দেশে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদ করা হলেও অনেকে বাদ পড়েন। ফলে বছরব্যাপী এ কার্যক্রম চলতেই থাকে। এছাড়া জাতীয় পরিচয়পত্র সংক্রান্ত ঝামেলা তো রয়েছেই। কেবল একটু সচেতন হলেই এ সমস্যাটি থাকে না। তাই ভোটার দিবস এদেশেও তরুণদের মাঝে ব্যাপক আগ্রহের সৃষ্টি করবে।
 
এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব মোখলেছুর রহমান বলেন, সারাদেশেই নানা কর্মসূচির মাধ্যমে এ দিবসটি উদযাপন করা হবে। মূলত, জনসাধারণের মধ্যে ভোটার হওয়ার বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টিই এই কর্মসূচির মূল লক্ষ্য। এ কার্যক্রমের সঙ্গে ভোটার তালিকা হালনাগাদের বিষয়টি সম্পৃক্ত রাখা হবে।
 
বাংলাদেশ সময়: ২১৩২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০১৯
ইইউডি/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।