বৃহস্পতিবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সদস্য মুজিবুল হক চুন্নুর এক লিখিত প্রশ্নের উত্তরে প্রতিমন্ত্রী এ তথ্য জানান। মুজিবুল হক চুন্নুর অনুপস্থিতিতে প্রশ্নটি উপস্থাপন করেন জাসদ সভাপতি সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু।

নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে দেশের নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বিভিন্ন রুটে চলাচলকারী ফেরির সংখ্যা হলো: পাটুরিয়া সেক্টরে ২০টি, শিমুলিয়া সেক্টরে ১৮টি, চাঁদপুর সেক্টরে ৫টি, ভোলা সেক্টরে ৩টি ও লাহারহাট সেক্টরে ৪টিসহ মোট ৫০টি।

তিনি বলেন, বিআইডব্লিউটিসি পরিচালিত বিভিন্ন রুট/ঘাটে ফেরির সংখ্যা বৃদ্ধি করার পরিকল্পনা রয়েছে যার আওতায় ২টি উন্নতমানের কে-টাইপ ফেরি নির্মাণাধীন রয়েছে। এ দুই ফেরি ২০২০ সালের জুন নাগাদ সার্ভিসে নিয়োজিত করা হবে। বিআইডব্লিউটিসির নিজস্ব অর্থায়নে ২টি মিডিয়াম ফেরি নির্মাণের প্রস্তাব মন্ত্রণালয়ে দাখিল করেছে, যার অনুমোদন প্রক্রিয়াধীন আছে।

এছাড়াও বিআইডব্লিউটিসির জন্য ৩৫টি বাণিজ্যিক জলযান সংগ্রহ, ৮টি সহায়ক জলযান এবং ২টি নতুন স্লিপওয়ে নির্মাণ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ৬টি ইমপ্রুভড ইউটিলিটি ফেরি ও ৬টি ইমপ্রুভড কে-টাইপ ফেরি নির্মাণ করা হবে। ফেরিগুলি নির্মাণ শেষে ২০২২ সালের জুন মাসের মধ্যে সার্ভিসে নিয়োজিত করা সম্ভব হবে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী।

আওয়ামী লীগের সদস্য দিদারুল আলমের এক প্রশ্নের উত্তরে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী জানান, নৌ দুর্ঘটনা রোধ এবং দুর্ঘটনায় দায়ী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে প্রচলিত আইন অনুযায়ী শাস্তি দেওয়া হচ্ছে। স্বাধীনতার পর ১৯৭৬ সাল থেকে ১৯১৮ সাল পর্যন্ত ছোট-বড় সকল ধরনের মোট ৬৩৯টি নৌ দুর্ঘটনায় ৪৭৩২ জন নিহত হয়। মেরিন কোর্টে এই সময়ে দুর্ঘটনাসহ নৌযান পরিচালনায় বিভিন্ন ধরনের অপরাধের জন্য মোট ২৬৮৯৭টি, এর মধ্যে নৌ দুর্ঘটনায় মামলা হয়েছে ৪৪৮টি। নৌ দুর্ঘটনার ২০৪টি মামলায় দোষী সাবস্ত হওয়ায় বিভিন্ন মেয়াদে আসামিদের জেল ও জরিমানা করা হয়েছে। অবশিষ্ট মামলাগুলো বিচারাধীন রয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০১৯ 
এসকে/এমজেএফ