বৃহস্পতিবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ সচিবালয়ে তার কার্যালয়ে ঢাকায় জাপানের রাষ্ট্রদূত হিরোইয়াসু লিজুমিরের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় বাণিজ্যমন্ত্রী একথা বলেন। এসময় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, জাপান বাংলাদেশের বন্ধুরাষ্ট্র। যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশ পুনর্গঠনে জাপান বাংলাদেশকে অনেক সহযোগিতা দিয়েছে। জাপানি সাহায্য সংস্থা এখনও বাংলাদেশে কাজ করছে। অনেক জাপানি বাংলাদেশে কর্মরত আছেন। জাপানের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক দীর্ঘদিনের।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ১০০টি স্পেশাল ইকোনমিক জোন গড়ে তোলা হচ্ছে। জাপান নারায়ণগঞ্জ জেলা আড়াই হাজার উপজেলা এবং চট্টগ্রামের মীরসরাই উপজেলায় দু’টি স্পেশাল ইকনোমিক জোনে জাপান বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এজন্য জাপানের প্রতি বাংলাদেশের কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।
ঢাকায় নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত বলেন, জাপান বাংলাদেশের ঘনিষ্ট বন্ধুরাষ্ট্র। জাপান ও বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। জাপান বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক বৃদ্ধি করতে আগ্রহী। বাংলাদেশ সব ক্ষেত্রে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। এতে জাপান খুশি। জাপান বাংলাদেশে বিনিয়োগ বাড়াবে।
এর আগে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি মহাখালীতে আইপিএইচ স্কুল অ্যান্ড কলেজের আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন। পরে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে নিজ দফতরে নরডিক কান্ট্রির সুইডেন, নরওয়ে এবং ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। বিকেলে ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস ফোরাম অফ বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস)এর দু’টি বিজনেস প্রতিনিধি দলের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০১৯
জিসিজি/আরআর