বৃহস্পতিবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নগরের লুৎফর রহমান সড়কের একটি বাসা থেকে তাদের আটক করা হয়। এসময় ওই বাসা থেকে গৃহকর্মীকেও উদ্ধার করা হয়েছে।
আটকরা হলেন- মজিবর রহমান হাওলাদার, তার স্ত্রী সায়লা রহমান ও দোকানের কর্মচারী মো. মাসুম।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বরিশাল মহানগর পুলিশের এয়ারপোর্ট থানার সেকেন্ড অফিসার উপ-পরিদর্শক (এসআই) অরবিন্দ বিশ্বাস বাংলানিউজকে জানান, এক বছর আগে ভিকটিমের চাচা মো. বজলুর রহমানের কাছ থেকে গৃহপরিচারিকার কাজের জন্য তাকে নগরের লুৎফর রহমান সড়কের বাসায় নিয়ে আসে মজিবর রহমান হাওলাদার। সেই থেকেই কাজে ভুলত্রুটি হলে মজিবর রহমান ও তার স্ত্রী প্রায়ই ভিকটিমকে মারধর করতেন।
তিনি আরও জানান, ভিকটিমকে আয়রন দিয়ে ছ্যাকা ও খাবার না দিয়ে নির্যাতন করতেন মজিবর রহমান ও তার স্ত্রী। গত ২৬ জানুয়ারি দুপুরে মজিবর রহমান ও স্ত্রী বাসায় না থাকার সুযোগে দোকানের কর্মচারী মো. মাসুম ভিকটিমকে ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এর আগেও মাসুম একাধিকবার ভিকটিমকে ধর্ষণ করেছে।
বিষয়টি ভিকটিম গৃহকর্তাকে জানালে তারা উল্টো তাকে মারধর করেন এবং বিষয়টি কাউকে বলতে বারণ করেন। পরে ১২ ফেব্রুয়ারি পুনরায় কাজে ভুল হওয়ায় ভিকটিমকে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে জখম করেন।
বিষয়টি জানতে পেরে ওই বাড়িতে অভিযান চালিয়ে গৃহকর্মীকে উদ্ধার এবং নির্যাতন ও ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত তিনজনকে আটক করে পুলিশ। ইতোমধ্যে তাদের অভিযুক্ত করে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০১৯
এমএস/ওএইচ/