বৃহস্পতিবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) ঢাবি নৃত্যকলা বিভাগ এবং ইএমকে (অ্যাডওয়ার্ড মুর কেনেডি) সেন্টারের যৌথ উদ্যোগে কলা ভবন প্রাঙ্গণে ঐতিহাসিক বটতলায় বসন্ত উৎসবে সম্মানিত অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
বিভিন্ন আন্দোলন, সংগ্রাম ও বাংলাদেশ রাষ্ট্র জন্মের ইতিহাসের সঙ্গে জড়িয়ে আছে ঢাবি কলাভবনের এ ঐতিহাসিক বটতলা।
আর্ল রবার্ট মিলার বলেন, প্রায় ৪৭ বছর আগে অ্যাডওয়ার্ড এন কেনেডি রোপিত বটগাছের নিচে দাঁড়িয়ে কথা বলতে পেরে আমি গর্বিত। এ গাছটি বছরের পর বছর ধরে গড়ে ওঠা রাজনৈতিক সংস্কৃতির অনন্য দৃষ্টান্ত। যেসব তরুণরা দেশের জন্য, বাংলা ভাষার জন্য লড়াই করেছেন এবং জীবন দিয়েছেন, তারা আপনাদের মতোই তরুণ ছিলেন। আমার সামনে যেসব তরুণরা বসে আছেন, আপনাদের মতো তরুণরাই আগামীর বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ।
তিনি বলেন, আমেরিকা ও বাংলাদেশের বন্ধুতকে আরো শক্তিশালী করার জন্য ইএমকে সেন্টার প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। প্রতিবছর প্রায় ৬০ হাজার লোকজন এ সেন্টারটি পরিদর্শন করে। গত বছর সাড়ে সাত হাজার শিক্ষার্থী ইএমকে সেন্টারের সহযোগিতা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করার জন্য গেছেন।
বসন্ত উৎসবের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান।
তিনি বলেন, এ অকৃত্রিম বন্ধুর কথা বাঙালি জাতি কোনোদিন ভুলবে না। বাংলাদেশ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক দিন দিন আরো সুদৃঢ় হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. নাসরীন আহমাদ এবং প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন।
এছাড়া অন্যদের মধ্যে নৃত্যকলা বিভাগের চেয়ারপারসন অধ্যাপক রেজওয়ানা চৌধুরী, সংগীত বিভাগের চেয়ারপারসন মিসেস টুম্পা সমদ্দার, ইএমকে সেন্টারের পরিচালক নাভিদ আকবর ও সাবেক পরিচালক এম কে আরিফ উপস্থিত ছিলেন।
সংগীত বিভাগ ও নৃত্যকলা বিভাগের শিক্ষার্থীদের সংগীত ও নৃত্য পরিবেশনা উৎসবকে প্রাণবন্ত করে তুলে। এছাড়াও সংগীত পরিবেশন করেন কাঙালিনী সুফিয়া, বাউল শফি মণ্ডল ও সুরের ধারার শিল্পীরা।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০১৯
এসকেবি/আরবি/