শুক্রবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) নিহতের চাচা নাসির উদ্দিন বাদী হয়ে বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
এদিকে ঘটনাস্থল হতে আটক হওয়া হত্যাকারী মেহেদী হাসান রনিকে শুক্রবার ওই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে জেল-হাজতে পাঠানো হয়েছে।
মামলার একমাত্র আসামি মেহেদী হাসান রনি ঝলকাঠি পৌরসভার ২নম্বর ওয়ার্ডের শওকত আলীর ছেলে। তিনি নগরের পাবলিক লাইব্রেরি এলাকার ভাড়া বাসায় থাকতেন।
এছাড়া খুন হওয়া কলেজছাত্র রুবেল হাসান (২০) বরিশাল সরকারি ব্রজমোহন (বিএম) কলেজের ইংরেজি বিভাগের অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্র ও উজিরপুর উপজেলার সাতলা গ্রামের গিয়াস উদ্দিনের ছেলে। নগরের ব্রাউন কম্পাউন্ড এলাকায় থেকে লেখাপড়া করতেন রুবেল।
মামলার বরাত দিয়ে ওসি নুরুল ইসলাম জানান, নগরের মল্লিক রোডের বাসিন্দা রাফসানের বোন সাওদার সঙ্গে দুই বছর আগে রনির বিয়ে হয়। রনি বখাটে হওয়ায় সাওদা তাকে তালাক দেন। পরবর্তীতে অনেক বুঝিয়ে আবারও সাওদাকে বিয়ে করে রনি। কিন্তু দ্বিতীয়বারও তাদের বিচ্ছেদ ঘটে।
তিনি আরও বলেন, রনি পুনরায় সাওদাকে ঘরে তুলতে চাচ্ছিলো। কিন্তু তাতে রাজি না হওয়ায় রনি নানানভাবে সাওদাকে উত্যক্ত করে আসছিলো। সর্বশেষ ১৪ ফেব্রুয়ারি ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে সন্ধ্যায় সাওদা তার ভাই ও বন্ধুদের সঙ্গে বঙ্গবন্ধু উদ্যানে ঘুরতে যায়। রনি সেখানেও উপস্থিত হয়ে সাওদাকে উত্যক্ত করেন।
এ নিয়ে সাওদার ভাই রাফসান ও রনির মধ্যে হাতাহাতি হলে তাদের বাধা দেয় রাফসানের বন্ধু কলেজছাত্র রুবেল হাসান ও মিতুল। এসময় রনি তার সঙ্গে থাকা চাকু দিয়ে তাদের এলোপাথারী কুপিয়ে জখম করেন। তাৎক্ষণিকভাবে মুমূর্ষু অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক রুবেলকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঘটনার পরপরই বঙ্গবন্ধু উদ্যানে উপস্থিত লোকজন রনিকে ধাওয়া করে ধরে গণধোলাই দেন। পরে তারা রনিকে পুলিশের হাতে তুলে দেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০১৯
এমএস/ওএইচ/