ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

সুবর্ণচরে নারী কনস্টেবলের মরদেহ উদ্ধার

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৩৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০১৯
সুবর্ণচরে নারী কনস্টেবলের মরদেহ উদ্ধার

নোয়াখালী: নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার চরজব্বার থানা কোয়ার্টার থেকে শিপ্রা রানী দাস (২২) নামে এক কনস্টেবলের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। 

নিহতের পরিবারের দাবি মাদকাসক্ত ও অর্থলোভী স্বামী পুলিশ সদস্য রাজিব দে’র কারণে সে আত্মহত্যা করেছে।  

শুক্রবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ২টার দিকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

নিহত শিপ্রা রানী দাস কুমিল্লা জেলার দেবীদ্বারের পঞ্চনগর এলাকার মৃত অনিল দাসের মেয়ে।  

চরজব্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহেদ উদ্দিন জানান, থানা কোয়ার্টারের ওই কক্ষে শিপ্রা রানীসহ পাঁচজন নারী পুলিশ থাকতেন, যাদের মধ্যে একজন ছুটিতে রয়েছেন।  

শুক্রবার দুপুরে অপর তিনজন খাবার আনার জন্য বাইরে গেলে শিপ্রা সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। খবর পেয়ে দরজা ভেঙে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

ওসি আরও বলেন, ধারণা করা হচ্ছে তার স্বামীর সঙ্গে পারিবারিক কোনো বিষয়ে বিরোধের জেরে সে আত্মহত্যা করে থাকতে পারে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।

এদিকে নিহত শিপ্রার মা সরনা রানী দাস বলেন, শিপ্রার বাবা কয়েক বছর আগে মারা যান। ২০১৪ সালে শিপ্রা পুলিশে যোগদান করে। দেবীদ্বার এলাকার রাজিবের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কের সূত্র ধরে ২০১৭ সালের ১০ জুলাই তাদের বিয়ে দেয়া হয়। বিয়ের সময় রাজিবকে নগদ এক লাখ টাকা চার ভরি স্বর্ণ ও আসবাপত্র দেওয়া হয়। রাজিব বর্তমানে চট্টগ্রামে কর্মরত আছে।

তিনি অভিযোগ করেন, রাজিব মাদকাসক্ত। পুলিশে চাকরি করলেও বিভিন্ন সময় টাকার জন্য সে শিপ্রাকে মারধর করতো। তিনি অন্যের বাড়িতে কাজ করে নিজের সংসার চালান তাই তার পক্ষে রাজিবকে কোনো টাকা দেওয়া সম্ভব হতো না। শিপ্রা চরজব্বার থানায় বদলি হয়ে যাওয়ার পর রাজিবের ভয়ে গত ৪ মাস ধরে শিপ্রার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছেন না।  

বাংলাদেশ সময়: ১৭২৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০১৯
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।