শুক্রবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে উপজেলার মুন্সিগঞ্জ স্টেশনের অদূরে এ ঘটনা ঘটে। নিহত বন্যা মুন্সিগঞ্জ মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে নবম শ্রেণিতে পড়তো।
নিহতের মামা কদর আলী বাংলানিউজকে জানান, বন্যার বাবার বাড়ি কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার নলডাঙ্গা গ্রামে। খুব ছোট বেলাতে তার বাবা-মা মারা গেলে চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার মাদারহুদা গ্রামে আমার নিজ বাড়িতে সন্তানস্নেহে তাকে বড় করি। ছোট বেলা থেকেই প্রচণ্ড অভিমানী ছিল বন্যা। দুপুরের পর বাড়িতে কোনো কিছু না বলেই বের হয়ে যায়। আমরা খুঁজতে থাকি। এরপর বিকেলের দিকে ট্রেনে কাটা পড়ে তার মৃত্যুর খবর পাই।
স্থানীয় জেহালা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য নজরুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, বিকেল ৩টার কিছু পরে ওই কিশোরী মুন্সিগঞ্জ স্টেশনে ঘোরাফেরা করতে দেখে স্থানীয়রা। এরপর বিকেল ৪টার দিকে রাজশাহী থেকে খুলনামুখী একটি ট্রেন মুন্সিগঞ্জ স্টেশন অতিক্রম করার সময় দাঁড়িয়ে থাকা মেয়েটি ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দেয়। মুহূর্তের মধ্যেই ক্ষতবিক্ষত হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায় বন্যা।
খবর পেয়ে সন্ধ্যায় চুয়াডাঙ্গা জিআরপি পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়। মৃত্যুর কারণ হিসেবে ওই স্কুলছাত্রীর কাছ থেকে একটি চিরকুট উদ্ধার করেছে পুলিশ।
আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুন্সি আসাদুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করে বাংলানিউজকে বলেন, চিরকুটে লেখা রয়েছে— “আর কাউকে কখনো জ্বালাব না, কেউ আর আমাকে বকাও দিতে পারবে না। আমি এতিম, চলে গেলাম। এই চিঠিটি যখন পাবে তখন আমি এই পৃথিবীতে আর থাকবো না। ”
ওসি বলেন, পরিবারের সদস্যদের প্রতি অভিমান করে ওই কিশোরী আত্মহত্যা করেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। তারপরও বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২০০৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০১৯
জিপি