ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

মাদক নিয়ন্ত্রণে সীমান্তকে কঠোরভাবে সুরক্ষা করবো

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৪৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০১৯
মাদক নিয়ন্ত্রণে সীমান্তকে কঠোরভাবে সুরক্ষা করবো আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিচ্ছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী-ছবি-বাংলানিউজ

কক্সবাজার: উখিয়া-টেকনাফসহ ১৯৩টি সীমান্ত পয়েন্ট দিয়ে ইয়াবা বাংলাদেশে ঢুকছে। মিয়ানমারকে ইয়াবা চোরাচালান বন্ধ করতে অনেকবার বলেছি। তারা বলে কিন্তু বাস্তবে কিছুই করে না। তাই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়ছি সীমান্তকে আমরা কঠেরভাবে সুরক্ষা করবো।

শনিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে টেকনাফ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ইয়াবা ব্যবসায়ীদের আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল একথা বলেন।

**আত্মসমর্পণ করছেন ১০২ মাদক ব্যবসায়ী

মাদক নিয়ন্ত্রণে সীমান্তকে কঠোরভাবে সুরক্ষা করবোস্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কিছু সদস্যের বিরুদ্ধেও অভিযোগ রয়েছে।

এ ধরনের অভিযোগ পেলেই আমাদের জানান, আইজিপিকে জানান। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য হলেও জড়িত থাকলে কঠোরভাবে দমন করা হবে। আমাদের ইসলাম ধর্মে মাদকের বিষয়ে কঠোর নিষেধ আছে। আসুন আমরা ধর্মকে হৃদয়ে ধারণ করে ইয়াবাকে বর্জন করি।

মাদক ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনারা বিকল্প কর্মসংস্থান করতে সরকারের সহায়তা চাইলে তাও করা হবে, তবুও আপনারা এ পথ থেকে ফিরে আসেন।

মাদক নিয়ন্ত্রণে সীমান্তকে কঠোরভাবে সুরক্ষা করবোনাফ নদীতে মাছ ধরার নৌকাগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, নৌকাগুলো মাছ ধরতে যায় আর আসার সময় ইয়াবা নিয়ে আসে। এসব বিষয় নিয়ে আমরা বসবো।

টেকনাফসহ কক্সবাজারকে ইয়াবামুক্ত করতে সবার সহযেগিতা চান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ইয়াবার চোরাচালানের কারণে নাফ নদীতে মাছ ধরা বন্ধ রাখা হয়েছে। দিনে মাছ ধরার অনুমতি চেয়ে স্থানীয়দের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে তিনি বলেন, জেলা প্রশাসন, বিজিবি, কোস্টগার্ডসহ সবার সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. জাবেদ পাটোয়ারীযারা আত্মসমর্পণ করেনি তাদের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. জাবেদ পাটোয়ারী। তিনি বলেন, তাদের উদ্দেশে বলছি-আপনারা দ্রুত আত্মসমর্পণ করুন, না হয় বাঁচতে পারবেন না। আপনাদের বিরুদ্ধে আরও কঠোর আইন আমরা প্রয়োগ করবো। সুতরাং অন্ধকার জগত থেকে আলোর পথে আসুন।

টেকনাফ তথা কক্সবাজারকে মাদকমুক্ত করতে সবার সহযোগিতা চেয়ে আইজিপি বলেন, শুধু অভিযান দিয়ে মাদক নির্মূল করা সম্ভব নয়, সবাইকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে এগিয়ে আসতে হবে, সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।

তিনি বলেন, শুধু কক্সবাজার নয়, সারাদেশের এসপিরা যোগাযোগ করছে এ ধরনের আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠান করার জন্য। তাই পর্যায়ক্রমে সব জেলায় এরকম অনুষ্ঠান করা হবে। সারাদেশকে মাদকমুক্ত করা হবে। যাদের বিরুদ্ধে মামলা আছে সাধারণ নিয়মে আইনের গতিতে মামলা চলবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৪১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০১৯
আরআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।