এছাড়া জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আরও তিন জনকে আটক করা হয়েছে। শনিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে মোরেলগঞ্জ উপজেলার চিংরাখালি ইউনিয়নের চন্ডিপুর গ্রাম থেকে এদের আটক করা হয়।
এর আগে শুক্রবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) রাত ১০টার দিকে চন্ডিপুর গ্রামে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে।
নিহত ইমন একই গ্রামের মৃত মামুন মোল্লার ছেলে এবং স্থানীয় চন্ডিপুর দাখিল মাদ্রাসার ১০ম শ্রেণির শিক্ষার্থী। ছুরিকাঘাতকারী তানভীর উকিল (১৮) খুলনা শিপইয়ার্ড এলাকার আল আমিন উকিলের ছেলে।
এছাড়া জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটকরা হলো-একই গ্রামের আলমগীর শেখের মেয়ে এবং তানভীর উকিলের মামাতো বোন এসএসসি পরীক্ষার্থী জান্নাতি (১৫), নিহত ইমনের বন্ধু চন্ডীপুর গ্রামের কুদ্দুস খানের ছেলে আসিব খান (১৭) এবং সবুজ (১৭)।
সরোয়ার মাস্টার, মাহমুদুল হাসানসহ ইমনের একাধিক প্রতিবেশী জানান, রাতে ইমন ও আসিব মাহফিল শুনছিল। তখন কিছু লোক ওদেরকে ডেকে নিয়ে ইমনের বুকে ও হাতে ছুরিকাঘাত করে।
পুলিশ জানায়, একই এলাকার মোরেলগঞ্জ উপজেলার চিংড়াখালী ইউনিয়নের চন্ডীপুর গ্রামের মাদ্রাসার ছাত্র ইমন মোল্লা তার বন্ধু আসিবের সঙ্গে মাহফিলে যাচ্ছিল। পথে একই এলাকার এসএসসি পরীক্ষার্থী জান্নাতির ফুফাতো ভাই তানভীরের সঙ্গে আসিব ও ইমনের কথা কাটাকাটি হয়। পরে তারা মহফিলে চলে যায়। কিছুক্ষণ পরে মাহফিল থেকে ডেকে নিয়ে ইমনের বুকের বাম পাশে ধারালো ছুরি দিয়ে আঘাত করে তানভীর। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যায় ইমন।
নিহত ইমনের চাচি জান্নাতি বেগম বলেন, দুই বছর বয়সে ইমনের বাবা মারা যান। এর পর তার মা অন্য জায়গায় বিয়ে করেন। তখন থেকে ইমনকে আমি কোলে পিঠে করে মানুষ করেছি। আজ ইমনের এমন মৃত্যু আমি মেনে নিতে পারছিনা। হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের ফাঁসি চাই আমি।
মোরেলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম আজিজুল হক বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বাগেরহাট সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মূল আসামিকে আটক করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আরও তিন জনকে আটক করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, প্রেম ঘটিত কারণে এ হত্যার ঘটনা ঘটিয়েছে বলে পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে তানভীর।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০১৯
আরএ