শনিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের দক্ষিণ সুরমার বদিকোনা পশ্চিমপাড়া মারকাজের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা সম্পর্কে চাচাতো বোন।
নিহত লিয়া দক্ষিণ সুরমার মোহাম্মদপুর গ্রামের সৈয়দ মজলিস আলীর মেয়ে। সে দক্ষিণ সুরমা ডিগ্রি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী। আয়শা একই গ্রামের লিয়াকত হোসেনের মেয়ে। সে দক্ষিণ সুরমা নুরজাহান মেমোরিয়াল কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী। এছাড়াও এ ঘটনায় লিয়া ও আয়েশার ভাবি তাসলিমা বেগম গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
বিকেলে সিলেট থেকে ছেড়ে আসা একটি বাসের সঙ্গে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই লিয়ার মৃত্যু হয়। এসময় গুরুতর আহত হন আয়শাসহ আরো দুই যাত্রী। তাদের উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর পরই আয়শার মৃত্যু হয়। আর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তাসলিমা বেগম।
এদিকে, দুর্ঘটনার পর বিক্ষুব্ধ জনতা সড়ক অবরোধ করলেও পরে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে অবরোধ তুলে নেন।
সিলেট মহানগর পুলিশের দক্ষিণ সুরমা থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) রিপন দাশ বাংলানিউজকে বলেন, নিহত তিনজনের দু’জনই কলেজছাত্রী। তারা সম্পর্কে চাচাতো বোন। নিহত তাসলিমা বেগম সম্পর্কে তাদের ভাবি। নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করে হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া দুর্ঘটনাকবলিত বাস ও অটোরিকশা জব্দ করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০১৯
এনইউ/আরবি/