ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

রোহিঙ্গাদের এক লাখ বোতল গ্যাস দেবে আইওএম

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২০৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০১৯
রোহিঙ্গাদের এক লাখ বোতল গ্যাস দেবে আইওএম ন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে প্রতিমন্ত্রী ডা. মোহাম্মদ এনামুর রহমান

ঢাকা: আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) এক লাখ রোহিঙ্গা পরিবারকে বোতল গ্যাস সরবরাহ করবে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মোহাম্মদ এনামুর রহমান।

তিনি জানান, রোহিঙ্গাদের জ্বালানি কাজে সহযোগিতায় এর রিফিল গ্যাসও তারা দেবে। একই সঙ্গে আইওএম রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবর্তনে জাতিসংঘ এবং মিয়ানমার সরকারকে তাগিদ দিয়েছে বলে জানান তিনি।

সোমবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের নিজ কক্ষে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক শেষে প্রতিমন্ত্রী সাংবাদিকদের এ কথা জানান। বৈঠকে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) পরিচালক মোহাম্মেদ আবধিকের মাহমুদ, প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের পরিচালক ডা. মারিয়া নিনিত্তি এবং বাংলাদেশ মিশন প্রধান জিওরগে জিগাউরাই উপস্থিত ছিলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে রোহিঙ্গারা টেকনাফ এলাকায় জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করে আমাদের সব বন উজাড় করেছে। এখন সেখানে ঘাসও খুঁজে পাওয়া যায় না। ফলে শিগগিরই এক লাখ রোহিঙ্গা পরিবারের জ্বালানি হিসেবে ব্যবহারের জন্য এক লাখ বোতল গ্যাস সরবরাহ করবে আইওএম।

তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের বসবাসের ঘর বাঁশ দিয়ে তৈরি করা হয়েছে। এ বিষয়টি নিয়ে সফররত প্রতিনিধিরা বৈঠকে আলোচনা করেছেন। কারণ সামনে ঝড়-বৃষ্টির মৌসুম। এ সময় আমাদের দেশে ঘূর্ণিঝড় হয়। আইওএম প্রতিনিধিরা মূলত এসেছিলেন এ সংক্রান্ত আলাপ-আলোচনা করতে। ঘূর্ণিঝড় থেকে রক্ষা পেতে রোহিঙ্গাদের জন্য কতগুলো শেল্টার আছে, তা আরও বাড়ানো যায় কি না? আমরা তাদের জানিয়েছি, রোহিঙ্গাদের জন্য আমরা ৪২৩টি ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্র তৈরি করছি। রোহিঙ্গাদের জন্য আমরা যা করেছি, তা সবই অস্থায়ীভিত্তিতে করা হয়েছে। আমরা তাদের স্থায়ীভাবে আমাদের দেশে রাখতে পারবো না বলে জানিয়েছি।
  
ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী বলেন, আইওএম প্রতিনিধিরা আমাদের জানিয়েছেন, রোহিঙ্গাদের জ্বালানি সংকট কাটাতে শিগগিরই এক লাখ রোহিঙ্গা পরিবারের জ্বালানি হিসেবে ব্যবহারের জন্য এক লাখ বোতল গ্যাস সরবরাহ করবে। এর রিফিল গ্যাসও তারা দেবে। রোহিঙ্গা অধ্যুষিত এলাকায় বৃক্ষরোপণ এবং তাদের ফেরত পাঠানোর বিষয়ে তারা জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। পাশাপাশি মিয়ানমার সরকারকেও রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবর্তনের বিষয়ে তাগিদ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন।

বাংলাদেশ সময়: ২১০১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০১৯
জিসিজি/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।