এতে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) মেম্বার ইউসুফসহ ৯ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত আরও ২০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
এদিকে এই ঘটনায় নারায়ণগঞ্জ আদালতপাড়ায় আসেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের পরিচালক আল মাহমুদ ফায়জুল কবির, উপ-পরিচালক (অভিযোগ ও তদন্ত) গাজী সালাম ও সদস্য বাঞ্চিতা চাকমা।
এ সময় সেখানে নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ও আওয়ামী লীগের জাতীয় পরিষদের সদস্য আনিসুর রহমান দীপু।
পরে কমিশনের সামনে নির্যাতিতদের হাজির করা হয়। তারা পুরো ঘটনার আদ্যোপান্ত বর্ণনা করেন। এ সময মানবাধিকার কমিশনের পরিচালক আল মাহমুদ ফায়জুল কবির বলেন, ঘটনাটি বেশ বেদনাদায়ক। কাউকে এভাবে নির্যাতন করা ঠিক না। নির্যাতিতরা আমাদের সব বলেছেন। যে ঘটনা ঘটেছে তা জামিন অযোগ্য। এ ঘটনায় অবশ্যই মামলা হবে। নির্যাতিতদের পাশে থাকবে কমিশন।
বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, ভুক্তভোগী নারীদের একজন বাদী হয়ে মামলা করেছেন। আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
এদিকে নাম প্রকাশে এলাকাবাসীর অনেকে জানান, নির্যাতিত নারীদের একজন্য দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় অসামাজিক কার্যকলাপ চালিয়ে আসছেন। এজন্যপ্রভাবশালীদের বেশ টাকা পয়সাও দিতে তিনি। তাই এ নিয়ে কেউ কোনো প্রতিবাদও করেনি।
সম্প্রতি তাকে পুলিশে ধরিয়ে দেওয়া হয়। এক পর্যায়ে নির্যাতিত তিন নারীকে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন করা হয়। এ সময় তাদের চুল কেটে, গলায় জুতার মালা পরিয়ে নির্যাতন করে স্থানীয়রা।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০১৯
এমএ/