ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

মহাসড়কের উৎসমুখে বসছে এক্সেল লোড নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র

মফিজুল সাদিক, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬১৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০১৯
মহাসড়কের উৎসমুখে বসছে এক্সেল লোড নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র মহাসড়কের ফাইল ছবি

ঢাকা: যানবাহনের অতিরিক্ত ওজনের (ওভারলোড) কারণে নির্ধারিত সময়ের আগেই শেষ হচ্ছে সড়কের আয়ুষ্কাল। দেশের সড়কের এমন ‘পরিণতি’ ঠেকাতে গুরুত্বপূর্ণ মহাসড়কের উৎসমুখে এক্সেল লোড নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে সড়ক ও জনপথ অধিদফতর (সওজ)।

এর মাধ্যমে অনুমোদিত সীমার অতিরিক্ত পণ্য পরিবহনরোধ করা সম্ভব হবে। পাশাপাশি নির্ধারিত আয়ুষ্কাল শেষ হওয়ার আগেই সড়কগুলোকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করা যাবে।


 
‘সওজ আওতাধীন গুরুত্বপূর্ণ মহাসড়কে পণ্য পরিবহনের উৎসমুখে এক্সেল লোড নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র স্থাপন’ প্রকল্পের আওতায় এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। প্রকল্পের মোট ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে ১ হাজার ৭৩২ কোটি টাকা। চলতি সময় থেকে ২০২১ সালের জুন মেয়াদে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে। প্রকল্পের আওতায় ৯০ সেটওয়ে ইন মোশন স্কেল, ৩১ সেট স্ট্যাটিক ওয়ে ব্রিজ স্কেল স্থাপন ও কমিশনিং করা হবে।

সওজ সূত্র জানায়, সওজ’র আওতায় সর্বমোট ২১ হাজার ৩০২ কিলোমিটার সড়ক রয়েছে। এসব সড়কের ডিজাইন লাইফ ১০ থেকে ২০ বছর ধরে গেজেট প্রকাশ করা হয়। এতে বাংলাদেশের সড়কে কি পরিমাণে পণ্য পরিবহন করা যাবে সে বিষয়ে স্পষ্ট করে নির্দেশনা দেওয়া রয়েছে।

দুই চাকাবিশিষ্ট ফ্রন্ট এক্সেল এবং চার চাকাবিশিষ্ট রেয়ার এক্সেলের সর্বোচ্চ ওজনসীমা ধরা হয়েছে সাড়ে ১৫ টন। যা বাংলাদেশে চলাচলকারী অধিকাংশ যানবাহন ডাবল এক্সেল অর্থাৎ ছয় চাকাবিশিষ্ট পরিবহনের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। কিন্তু বাস্তবে দেখা যায় যে, মহাসড়কগুলোতে ২০ থেকে ৩০ টন ওজনের ট্রাক বা কাভার্ডভ্যান চলাচল করে। ফলে নির্ধারিত আয়ুষ্কালের আগেই অনেক সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। সেক্ষেত্রে ক্ষতিগ্রস্ত সড়কগুলোর রক্ষণাবেক্ষণ ও পুনর্বাসনের জন্য অর্থ অপচয় হচ্ছে।

এছাড়াও অতিরিক্ত ওজন বহনকারী যানবাহন সড়ক দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ। এক্ষেত্রে সড়কে যানচলাচল নিরাপদ এবং সড়কগুলো মজবুত টেকসই করতে মহাসড়কের ২১ স্থানে পণ্য পরিবহনের উৎসমুখে এক্সেল লোড নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র স্থাপন করা হবে।

স্থানগুলো হলো- গাজীপুর সদর, কেরানীগঞ্জ, ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট, শেরপুর নালিতাবাড়ি, কুমিল্লার বুড়িচং, ফেনী সদর, চট্টগ্রামের সাতকানিয়া, চট্টগ্রাম সদর, সীতাকুণ্ড, নরসিংদীর মাধবপুর, বিয়ানীবাজার, রামপাল, সাতক্ষীরা সদর, চুয়াডাঙ্গার দামড়হুদা, দিনাজপুরের হাকিমপুর, শিবগঞ্জ, কুড়িগ্রামের রৌমারী, পঞ্চগড়ের তেতুলিয়া, সৈয়দপুর, শিবচর ও কালিহাতী উপজেলা।

প্রকল্পের আওতায় ভূমি অধিগ্রহণ করা হবে। এছাড়াও ভবন, কন্ট্রোল রুম, বুথ, রোড ব্যারিয়ার, আরসিসি ড্রেন, পার্কিং অ্যারিয়া, ক্যাফেটেরিয়া, মিডিয়ান নির্মাণ করা হবে।
 
সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ হুমায়ুন কবীর খোন্দকার বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের সড়কগুলো অল্প সময়ে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ওভারলোডেড ট্রাকগুলো আটকানো যাচ্ছে না। এজন্য মহাসড়কের উৎসমুখে এক্সেল লোড নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র স্থাপন করা হবে। ফলে ট্রাকগুলো ওভারলোড হয়ে এলেই ধরা পড়বে। অথবা বেশি পণ্য ট্রাকে থাকলে আমরা খালাস করে ফেলবো। আর একই ট্রাক বারবার একই অপরাধ করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১১০৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০১৯
এমআইএস/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।