মঙ্গলবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা জানান ডিএমপি কমিশনার আসাদুজ্জামান মিয়া।
শহীদ মিনার কেন্দ্রীক নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তায় সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে জানিয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারসহ ঢাকা মহানগরীর অন্যান্য শহীদ মিনারগুলোতেও সুদৃঢ়, নিরবচ্ছিন্ন ও নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা বলবৎ থাকবে।
শহীদ মিনারের প্রবেশ পথে থাকবে আর্চওয়ে। আগতদের প্রত্যেককে মেটাল ডিটেক্টরের মাধ্যমে তল্লাশি চৌকি পেরিয়ে প্রবেশ করতে হবে। যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রস্তুত থাকবে ডিবি, সোয়াট, বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট ও ক্রাইম সিন ভ্যান। পুরো এলাকা ডগ স্কোয়াডের মাধ্যমে সুইপিং করা হবে।
কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার কেন্দ্রীক ৬ হাজার পুলিশ মোতায়েন থাকবে। এর বাইরে ঢাকা মহানগরীজুড়ে দায়িত্ব পালন করবেন ১০ হাজার পুলিশ সদস্য। পোশাকধারী পুলিশ সদস্যের পাশাপাশি সাদা পোশাকে গোয়েন্দা পুলিশ সদস্যরা দায়িত্ব পালন করবেন।
কোনো সংস্থা বা কাউকে শহীদ মিনার কেন্দ্রীক বাণিজ্যিকীকরণ কর্মকাণ্ড করতে দেওয়া হবে না। বাণিজ্যিকীকরণের উদ্দেশ্যে কাউকে কোনো ধরনের ব্যানার ফেস্টুন ব্যবহার করতে দেওয়া হবে না।
শহীদ মিনার কেন্দ্রীক নিরাপত্তায় সুনির্দিষ্ট কোনো ‘হুমকি’ নেই বলেও জানান তিনি।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, শহীদ মিনারের আশপাশের এলাকায় চেকপোস্ট বসিয়ে আগতদের তল্লাশি করা হবে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সহযোগিতায় ভাসমান দোকান, হকার উচ্ছেদ করা হবে। ২০ তারিখ (বুধবার) সন্ধ্যা থেকে পরদিন সারাদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ছাড়া বহিরাগত কেউ বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় প্রবেশ করতে পারবে না। এছাড়া স্টিকার ছাড়া কোনো যানবাহনকে এ এলাকায় প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না।
রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রী, বিদেশি কূটনৈতিক ও ভিআইপিদের শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে। তবে সাধারণ নাগরিকদের সবাইকে পলাশী হয়ে শহীদ মিনারের প্রবেশ করতে হবে। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে দোয়েল চত্বর ও চানখাঁরপুল হয়ে বেরিয়ে যাবেন।
বাংলাদেশ সময়: ১২২৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০১৯
পিএম/জেডএস