মঙ্গলবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বোমাং রাজার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে মেলার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেন ১৭তম বোমাং রাজা ইঞ্জিনিয়ার উ চ প্রু।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- রাজকুমার সা চ প্রু, চ নু প্রু, হেডম্যান অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক টি মং প্রুসহ জেলার প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা।
সংবাদ সম্মেলনে বোমাং রাজা জানান, প্রতিবছর জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে মেলা অনুষ্ঠিত হলেও এবার একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কারণে মেলা দেরিতে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আগামী ৮ মার্চ থেকে ১০ মার্চ পর্যন্ত তিনদিন ব্যাপী এবারের মেলা অনুষ্ঠিত হবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. আবদুর রাজ্জাক এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে। এছাড়াও তিন পার্বত্য জেলার বিভিন্ন প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও দেশি-বিদেশি পর্যটকরা অংশ নেবেন।
রাজপরিবার সূত্রে জানা যায়, তিনদিন ব্যাপী রাজপূণ্যাহ মেলায় প্রতিবারের মতো এবারও নানা বিনোদনের আয়োজন করা হয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে- সার্কাস, যাত্রাপালা, পুতুল নাচ, মৃত্যুকুপসহ নানা আয়োজন।
প্রতি বছর প্রায় ১৫ হাজার জুমিয়া পরিবারের কাজ হতে ৯০ হাজার টাকা খাজনা আদায় করা হয়। তন্মধ্যে ৪২ শতাংশ রাজা, ২১ শতাংশ হেডম্যান এবং ২৭ শতাংশ রাজস্ব সরকার পেয়ে থাকে।
আনন্দঘন পরিবেশে শান্তিপূর্ণভাবে ঐতিহ্যবাহী রাজপূণ্যাহ মেলা আয়োজনে সবার সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন রাজা উ চ প্রু।
১৪টি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সম্প্রদায় এবং প্রায় এক হাজার ৭৬৪ বর্গমাইল এলাকার ১০৯টি মৌজা নিয়ে গঠিত বোমাং সার্কেল। ১৭২৭ সাল থেকে বোমাং রাজ প্রথা শুরু হলেও ১৮৭৫ সাল থেকে ধারাবাহিকভাবে বোমাং রাজারা ঐতিহ্যবাহী রাজপূণ্যাহ মেলার আয়োজন করে আসছেন।
বান্দরবানে প্রত্যেকটি মৌজার প্রতিটি পরিবার বছরে ৬ টাকা হারে খাজনা দেয়। আর তা থেকে সরকারের তহবিলে জমা হয় ২ দশমিক ২৫ পয়সা, ১ দশমিক ২৫ পয়সা পান মৌজার হেডম্যানরা। বাকি ২ দশমিক ৫০ পয়সা পান বোমাং রাজা।
১৮৭৫ সালে নবম বোমাং রাজা সা নাইঞো রাজকর আদায় উপলক্ষে সর্বপ্রথম রাজপুণ্যাহ অনুষ্ঠানের প্রচলন করেছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০১৯
জিপি