মঙ্গলবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে জেলা শহরের নারানখাইয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
তুষারের বাড়ি জেলার লক্ষ্মীছড়ি উপজেলায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সন্ধ্যায় শহরের নারানখাইয়া এলাকায় জিনা ইঞ্জিনিয়ারিং নামক একটি দোকানে বসে কয়েকজনের সঙ্গে বসে গল্প করছিলেন তুষার। এসময় ৭/৮ জনের একদল অস্ত্রধারী এসে তুষারের পরিচয় জানতে চায়। পরিচয় দেওয়ার পর ওয়ার্কশপ সংলগ্ন স্থানীয় সরকার অধিদফতরের (এলজিইডি) কার্যালয়ের দ্বিতীয় গেটের পাশে এনে তাকে গুলি করে তারা পালিয়ে যায়।
জিনা ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কশপের মালিক জয় চাকমা বাংলানিউজকে বলেন, তুষারসহ আমরা কয়েকজন গল্প করছিলাম। এসময় একদল অস্ত্রধারী দোকানে এসে আমাদের চুপ থাকার নির্দেশ দেয়। একপর্যায়ে তুষারের নাম-ঠিকানা জিজ্ঞেস করে দোকানের পাশে নিয়ে গুলি করে। এসময় তারা কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে পশ্চিম নারানখাইয়া এলাকা দিয়ে পালিয়ে যায়।
খাগড়াছড়ি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাহাদাত হোসেন টিটো ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বাংলানিউজকে বলেন, তুষারের শরীরে তিনটি গুলির চিহ্ন রয়েছে। কে বা কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তা এখনো জানা যায়নি। মরদেহ বুধবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সকালে ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
এদিকে, এ ঘটনার জন্য এমএন লারমার নেতৃত্বাধীন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতিকে দায়ী করেছে প্রসীত খীসার ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)। তবে নিজেদের সংশ্লিষ্টতা অস্বীকার করেছে সংগঠনটি।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০১৯
এডি/আরবি/