ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

এসএসসির ফল পাল্টে দেওয়ার ঘোষণা দিয়ে অর্থ আদায়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৩৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০১৯
এসএসসির ফল পাল্টে দেওয়ার ঘোষণা দিয়ে অর্থ আদায় ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলন

ঢাকা: নিজেদেরকে হ্যাকার দাবি করে ফেসবুকে গ্রুপ খুলে একটি প্রতারক চক্র। চক্রটি শিক্ষাবোর্ডের ফলাফল তৈরির সফটওয়্যারে যুক্ত হয়ে এসএসসির ফলাফল পাল্টে দেওয়ার ঘোষণা দেয়। আর সেই চাহিদামতো শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে আদায় করতো ১৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা।

মঙ্গলবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) দিনগত রাতে রাজধানীর ফকিরাপুলের জোনাকি হোটেলের সামনে থেকে ওই প্রতারক চক্রের চার সদস্যকে আটক করে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।  

আটকরা হলেন- মো. আব্দুল ফাহিম (২০), মো. শামীম আহম্মেদ (১৯), মো. সোহেল রানা (১৭) ও মো. নবীন আলী (২২)।

বুধবার (২০ ফেব্রুয়ারি) ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার আব্দুল বাতেন।

তিনি বলেন, আসামিরা ফেসবুক গ্রুপ খুলে শিক্ষার্থীদের আশ্বস্ত করে যে, তারা এসএসসির ফলাফল পরিবর্তন করে দেবে। তাদের আইটি বিশেষজ্ঞ দল রয়েছে যারা এসএসসির রেজাল্ট শিট তৈরির সফটওয়্যারের সঙ্গে সংযুক্ত হয়ে রেজাল্ট পরিবর্তন করতে পারবে। তারা শিক্ষার্থীদের ‘এ গ্রেড’ পেলে সেটাকে ‘এ প্লাস’ এবং ‘বি গ্রেড’ পেলে সেটাকে ‘এ গ্রেড’ করে দেওয়ার নিশ্চয়তা দিয়ে টাকা আদায় করছিল।

ফলাফল পরিবর্তনের জন্য চক্রটি এইরমধ্যে শিক্ষার্থীদের কারো কাছ থেকে ১৫ হাজার, কারো কারো কাছ থেকে ২০ হাজার থেকে ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত আদায় করেছে বলেও জানান তিনি।

প্রাথমিক তদন্তের ভিত্তিতে ডিবির এ কর্মকর্তা বলেন, আটক ফাহিম দীর্ঘদিন ধরে ফেসবুক, ম্যাসেঞ্জার, ইমো, ইউটিউব এবং হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে এসএসসিসহ বিভিন্ন চাকরি, মেডিকেল ও বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তির ভুয়া প্রশ্নপত্র ফাঁস করে আসছিল। ২০১৮ সালে একই অপরাধে র‌্যাবের হাতে সে একবার গ্রেফতার হয়। ৬ মাস কারাগারে থাকার পর বের হয়ে আবারও সে একই কাজ শুরু করে।

ফাহিম এসএসসি অল বোর্ড, এসএসসি অল বোর্ড সেকেন্ড, রেজাল্ট চেঞ্জ বিডি গ্রুপ খুলে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ৫০০ থেকে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত আদায় করে আসছিল।

আটক শামীম ও সোহেল রানা ২০১৮ সাল থেকে প্রশ্নপত্র ফাঁসের সঙ্গে জড়িত। নবীন আলী পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলে ভুয়া প্রশ্ন বিক্রি করে ৫০০ থেকে ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত আদায় করতো।

আব্দুল বাতেন বলেন, এই চক্রটি ধরা হয়েছে। তবে এ বিষয়ে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকতদের সচেতনতা প্রয়োজন। কোমলমতি শিক্ষার্থীরা না বুঝে, ভালো রেজাল্টের স্বপ্ন থেকে, কম পড়াশোনা করে সহজে ভালো রেজাল্ট করার জন্য এসব বিজ্ঞাপন দেখে বিভ্রান্ত হচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৩০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০১৯
পিএম/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।