বৃহস্পতিবার (২১ ফেব্রুয়ারি) ভোরে অগ্নিকাণ্ডস্থলে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি এ মতটি তুলে ধরেন। ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড তদারকি করছিলেন শাকিল নেওয়াজ।
বুধবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দিনগত রাত ১০টা ৩৮ মিনিটে চকবাজারের নন্দ কুমার দত্ত রোডের শেষ মাথায় মসজিদের পাশে ৬৪ নম্বর হোল্ডিংয়ের ওয়াহিদ ম্যানসনে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। এলাকাবাসী বলছে, ওই ভবনের কারখানা থেকে আগুন ছড়িয়েছে। কারও কারও মতে, বিকট শব্দে সিলিন্ডার বিস্ফোরণের পর আগুন ছড়ায়। ওয়াহিদ ম্যানসনের নিচতলায় প্লাস্টিকের গোডাউন ছিল। ওপরে ছিল পারফিউমের গোডাউন।
এ আগুন নেভাতে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে ফায়ার সার্ভিসের ১৩টি স্টেশনের ৩৭টি ইউনিট। এলাকাবাসীর সহযোগিতায় ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা রাত ৩টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন বলে জানায় ফায়ার সার্ভিসের কন্ট্রোল রুম। তবে নিয়ন্ত্রণে এলেও বিকট শব্দ করে আগুন জ্বলছিল।
শাকিল নেওয়াজ বিষয়টি তুলে ধরে বলেন, আগুন ভেতরে ছোট-ছোট আকারে আছে। প্লাস্টিক পদার্থ, কেমিক্যাল, সিলিন্ডারসহ বিভিন্ন এক্সপ্লোসিভ জাতীয় পদার্থের কারণে বিস্ফোরণ হচ্ছে। যে কারণে আমরা অত্যন্ত বিপজ্জনক অবস্থায় ফায়ার ফাইটিং চালিয়ে যাচ্ছি। আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে এখনো আসেনি। তবে আসবে, আর বাড়তে পারবে না।
ঘটনাস্থলে যেতেও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের বেগ পেতে হয়েছে উল্লেখ করে এ কর্মকর্তা বলেন, পর্যাপ্ত পানি ও প্রশস্ত সড়ক না থাকলে পরবর্তীকালে এমন দুর্ঘটনা মোকাবেলা করা সম্ভব হবে না। বিল্ডিংগুলো একটার সঙ্গে আরেকটা লাগানো। এই অবস্থার পরিবর্তন না হলে আরও অধিক প্রাণের বিনিময়ে এর মূল্য দিতে হবে।
দুর্ঘটনাস্থলে যেতে ফায়ার সার্ভিসের গাড়িগুলোকে বেগ পেতে হয়েছে বলে এর আগে উল্লেখ করেছিলেন বাহিনীর মহাপরিচালক (ডিজি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আলী আহমেদ খানও। তিনি বলেছিলেন, এখানে আসার রাস্তাটির দু’পাশই সরু। ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি সহজে ঢুকতে পারেনি।
শাকিল নেওয়াজ জানান, অগ্নিকাণ্ডে এখন পর্যন্ত ৫৫ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। দগ্ধ বা আহত হয়ে ৪১ জন ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
তিনি জানান, ফায়ার সার্ভিসের ঢাকা ডিভিশনের ডিডি দেবাশীষ বর্ধনকে প্রধান করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। এ কমিটি ঘটনা খতিয়ে দেখতে কাজ করবে।
বাংলাদেশ সময়: ০৬৫৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২১, ২০১৯
এজেডএস/পিএম/ডিএসএস/এমএমআই/এইচএ/