বুধবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দিনগত রাত ১০টা ৩৮ মিনিটে ওই সড়কের শেষ মাথায় মসজিদের পাশে ৬৪ নম্বর হোল্ডিংয়ের ওয়াহিদ ম্যানসনে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। পরে তা আশপাশের ভবনেও ছড়িয়ে পড়ে।
পড়ুন>>চকবাজারের ভয়াবহ আগুন কেড়ে নিলো ৬৩ প্রাণ
ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের সাঁটানো এক বোর্ডে বৃহস্পতিবার (২১ ফেব্রুয়ারি) ভোর পর্যন্ত বলা হয়েছে, ৬৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর দগ্ধ বা আহত অবস্থায় ৪১ জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এলাকাবাসী বলছেন, ওই ভবনের কারখানা থেকে আগুন ছড়িয়েছে। কারও কারও মতে, বিকট শব্দে সিলিন্ডার বিস্ফোরণের পর আগুন ছড়ায়। ওয়াহিদ ম্যানসনের নিচতলায় প্লাস্টিকের গোডাউন ছিল। আর ওপরে ছিল পারফিউমের গোডাউন।
আগুনের ভয়াবহতা বর্ণনা করে আহত নূর আলম বাংলানিউজকে জানান, রাত সাড়ে ১০টাযর দিকে নন্দকুমার দত্ত রোড দিয়ে রিকশায় যাত্রী নিয়ে যাচ্ছিলেন। তখনই ঘটে বিকট শব্দ শুনতে পান তিনি। সে সময় তার রিকশার ওপর ভেঙে পড়ে ভবনের দেয়ালের অংশ।
তিনি বলেন, ‘আমার উপরে পড়ার সাথে সাথেই রিকশা থেকে পইড়া যাই। আর যাত্রীরা গিয়া পড়ে রাস্তার লগের ড্রেইনে। ’
বছর ত্রিশেকের নূর আলম জানান, দেয়ালের অংশ পড়ে মাথা ফেটে গেলেও তখন তার জ্ঞান ছিল। তিনি ফোনে বিষয়টি পাশেই এক আত্মীয়কে জানান। পরে ওই আত্মীয় ঘটনাস্থলে এসে তাকে ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে যান।
‘মাথা ফাইট্যা গেছে। হাতে আর পিঠে ও আঙুলেও ব্যাথা পাইছি। ’
রাতে হাসপাতালে চিকিৎসা নিলেও রোজগারের একমাত্র অবলম্বন রিকশা এখনও পাননি। তাই মাথায় ব্যান্ডেজ নিয়েই ভোর রাত সাড়ে চার দিকে হাসপাতাল থেকে ছুটে আসেন দুর্ঘটনাস্থলে।
বৃহস্পতিবার (২১ ফেব্রুয়ারি) আহত অবস্থায় রাত সাড়ে চারটায় চকবাজারে আবার আসেন রিকশা খুঁজতে। কারণ ওই সময় রিকশা ফেলেই প্রাণ বাঁচাতে যান হাসপাতালে। এ সময় তিনি বলেন, এমন দৃশ্য জীবনেও দেখি নাই। আজকে আমি আজরাইল দেইখ্যা ফালাইছি। অল্পের লাইগা প্রাণে বাইচ্যা গেছি।
বাংলাদেশ সময়: ০৭৪৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২১, ২০১৯
এমএমআই/এমএ