বৃহস্পতিবার (২১ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের সমন্বয়কারী অধ্যাপক ডা. সামন্তলাল সেন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, চিকিৎসাধীন ৯ জনের কেউই আশঙ্কামুক্ত নন।
পড়ুন>>চকবাজারে আগুন: বেড়েই চলেছে লাশের সারি
ডা. সামন্তলাল সেন বলেন, দগ্ধ মোট ১৮জন বার্ন ইউনিটে এসেছিলেন। এর ৯ জনকে চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বাকিরা ভর্তি রয়েছেন।
বার্ন ইউনিটে ভর্তি রয়েছেন- আনোয়ার হোসেন (৫৫), মাহমুদুল (৫২), সেলিম (৪৪), হেলাল (১৮), রেজাউল (২১), জাকির (৩৫), মোজাফফর মিয়া (৩২), সোহাগ (২৫), সালাউদ্দীন (৪৫)।
ডা. সামন্তলাল বলেন, সোহাগের শরীরের ৬০ শতাংশ ও রেজাউলের শরীরের ৫০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। ৯ জনের মধ্যে আনোয়ার, রেজাউল, জাকির ও সোহাগের শ্বাসনালি পুড়ে গেছে।
বুধবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দিনগত রাত সাড়ে ১০টার পর চকবাজারের নন্দকুমার দত্ত রোডের শেষ মাথায় চুড়িহাট্টা শাহী মসজিদের পাশে ৬৪ নম্বর হোল্ডিংয়ের ওয়াহিদ ম্যানশনে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। পরে তা আশপাশের কয়েকটি ভবনে ছড়িয়ে পড়ে।
এতে এ পর্যন্ত ৭০জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৪১জন।
এলাকাবাসী বলছেন, ওই ভবনের কারখানা থেকে আগুন ছড়িয়েছে। কারও কারও মতে, বিকট শব্দে সিলিন্ডার বিস্ফোরণের পর আগুন ছড়ায়। ওয়াহিদ ম্যানশনের নিচতলায় প্লাস্টিকের গোডাউন ছিল। ওপরে ছিল পারফিউমের গোডাউন।
খবর পেয়ে এ আগুন নেভাতে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় ফায়ার সার্ভিসের ১৩টি স্টেশনের ৩৭টি ইউনিট। এলাকাবাসীর সহযোগিতায় ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা সকালে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার কথা জানালেও এখনও পুরোপুরি নেভেনি আগুন।
বাংলাদেশ সময়: ১২৩২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২১, ২০১৯
আরএম/এমএ/