বৃহস্পতিবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে হতাহতের খবর আসার পর থেকেই অনেকের বাড়িতেই স্বজনদের আহাজারি করতে দেখা যায়। কেউ কেউ স্বজনদের কোনো সন্ধানই পাচ্ছেন না, তারা বেঁচে আছেন কি না তাও জানেন না।
ইউনিয়নের ঘোষকামতা গ্রামের খাসের বাড়িতে দুই সহোদর মাসুদ রানা ও রাজুর মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের এক চাচা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছেন। তবে, তারা সবাই ঢাকায় অবস্থান করেন। গ্রামের বাড়িতে রয়েছেন নিহতদের এক চাচা। ওই বাড়ির একটি সূত্র জানায়, বিকেলেই নিহতদের মরদেহ বাড়ি আনা হবে।
একই ইউনিয়নের বটতলির সাহাদাত হোসেন হিরা, মির্জা নগরের আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, নাছির উদ্দিনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
এদিকে, স্থানীয়রা জানান, শুধু নাটেশ্বর ইউনিয়নেরই হাজার খানেক মানুষ ঢাকার চকবাজারসহ বিভিন্ন স্থানে ব্যবসা করছেন। তাদের দাবি, হতাহতদের মধ্যে নাটেশ্বরের আরো অনেকেই থাকতে পারেন।
নাটেশ্বর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান কবির হোসেন বাংলানিউজকে জানান, রাতে অগ্নিকাণ্ডের খবর পাওয়ার পরপরই আমাদের ইউনিয়নে স্বজনদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছিল। সকালে মৃত্যু খবর আসার সঙ্গে সঙ্গে পুরো ইউনিয়নে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। এ পর্যন্ত আমরা সাতজনের মৃত্যুর ব্যাপারে নিশ্চিত হয়েছি। তবে এ সংখ্যা বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। কারণ এখনও অনেকের সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে না।
উল্লেখ্য, বুধবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দিনগত রাত সাড়ে ১০টার পর চকবাজারের নন্দকুমার দত্ত রোডের শেষ মাথায় মসজিদের পাশে ৬৪ নম্বর হোল্ডিংয়ের ওয়াহিদ ম্যানসনে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। পরে ভয়াবহ আগুন আশপাশের কয়েকটি ভবনে ছড়িয়ে পড়ে। এতে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ৭০ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ পর্যন্ত নিহত ৭০ জনের মধ্যে ৬৭ জনের মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। এ দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন ৪১ জন। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি রয়েছেন নয়জন। আহতদের মধ্যে বেশ কয়েকজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। ঘনবসতিপূর্ণ এ এলাকায় দাহ্য পদার্থের গোডাউন ও দোকান রয়েছে। এসব রাসায়নিকের (কেমিক্যাল) কারণে আগুন ভয়াবহ রূপ নিয়েছে বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২১, ২০১৯
এসআই