ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে অন্যসবার মতো পুড়ে ছাই হয়েছেন তারাও।
বৃহস্পতিবার (২১ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মর্গের সামনে মরদেহ শনাক্ত করতে এসে বাংলাদেশ মেডিকেলের ডেন্টাল বিভাগের এক শিক্ষার্থী মর্মান্তিক ওই ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে এমনটাই জানান।
তবে পুড়ে যাওয়ায় নিহত দুই বন্ধুর মরদেহ এখনো শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। ঢামেকের জরুরি বিভাগের সামনে তাদের স্বজনরা আহাজারি করছেন।
ঢামেক হাসপাতালের মর্গের সামনে উপস্থিত তাদের অন্য বন্ধুরা জানান, চকবাজারের ওই ডেন্টাল ক্লিনিকে রাশু প্র্যাকটিস করতেন। তার কাছে চিকিৎসা নিতে গিয়ে আশরাফুল ও রাশু দু’জনেরই করুণ মৃত্যু হয়েছে। ইমতিয়াজ ইমরুজ রাশু দাতের চিকিৎসক ছিলেন।
এ সময় চকবাজার ‘ওয়াহিদ ম্যানশন’র অগ্নিকাণ্ডে মদিনা মেডিসিন সেন্টার অ্যান্ড ডেন্টাল ক্লিনিকে দুই বন্ধুসহ আরো তিনজন আগুনে পুড়ে মারা যান বলেও জানান তারা।
চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার মোহাম্মদপুর গ্রামের আবু বকর সিদ্দিক নামের আরেক যুবক ঘটনাস্থলের একটি ভবনের নিচের হোটেলে রাতের খাবার খেতে যান। অগ্নিকাণ্ডে তিনিও মারা গেছেন বলে জানা গেছে।
বাংলানিউজকে সিদ্দিকের ছোট ভাই জানান, মরদেহ শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। রাতে ভাই সেখানকার একটি হোটেলে খাবার খেতে গিয়েছিলো। আর ফেরেনি। এখন মরদেহ খুঁজে পাচ্ছি না। যে মরদেহগুলার মুখ বোঝা যাচ্ছে সেগুলোর মধ্যে ভাই নেই।
এদিকে ঢামেক হাসপাতালে নিহতদের স্বজনদের আহাজারিতে পরিবেশ ভারী হয়ে উঠেছে। আপনজনকে হারিয়ে শোকে স্তব্ধ স্বজনরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২১, ২০১৯
টিএম/জেডএস