শনিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) কবি আবদুর রউফ ও মনজিল মুরাদ লাভলুর দুটি কাব্যগ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
সাংবাদিক আজাদ তালুকদারের সভাপতিত্বে সকাল ১১টায় তথ্যমন্ত্রীর নগরের বাসভবনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, কবিতা মনের ভাব প্রকাশ করার একটি মাধ্যম। কবিতা মনের কথা বলে, সমাজের কথা বলে। কবিতা মানুষকে পরিশীলিত হবার শিক্ষা দেয়, প্রতিবাদী হতে উদ্বুদ্ধ করে। সমাজে সাম্য প্রতিষ্ঠায় অবদান রাখে কবিতা। তথ্য প্রযুক্তির অবাধ প্রবাহের এই সময়ে কবিতা লেখার প্রতি আগ্রহ কমে আসছে।
তিনি বলেন, আজ থেকে ৩০-৪০ বছর আগেও কাগজে ছোটদের পাতা থাকতো। শিক্ষার্থীরা কবিতা লিখতো। সে কবিতা ছাপা হলে দেখতাম তাদের বাঁধভাঙা উল্লাস। সেটি এখন আর নেই। কাগজে এখন ছোটদের পাতা তেমন থাকে না, কবিতাও লেখা হয় না।
শৈশবের স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন, আমিও ছোটবেলায় কবিতা লিখতাম। আমার অনেক কবিতা চট্টগ্রামের বিভিন্ন কাগজে ছাপা হয়েছে। আমাদের স্কুলের বার্ষিকী সংখ্যায়ও আমার কবিতা ছাপা হয়েছে। স্কুলে যখন কোনও প্রতিযোগিতা হতো, তার পুরস্কার দেয়া হতো বই। সে বই এনে বাবাকে দেখাতাম, বাবা খুশি হতেন। আমার স্কুলের শিক্ষার কারণেই আজ এ জায়গায় আসতে পেরেছি।
ড. হাছান মাহমুদ আক্ষেপ করে বলেন, রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হওয়ার পর এখন আর কবিতা লেখা হয়ে ওঠে না। তবে অভিভাবকদের প্রতি আবেদন থাকবে, আপনারা সন্তানদের কবিতা পড়তে, সাহিত্য পাঠে উদ্বুদ্ধ করুন। স্মার্টফোন দেয়ার পরিবর্তে বই তুলে দিন। তাহলে আমাদের সন্তানদের যথাযথ মানসিক বিকাশ ঘটবে। এই চর্চা তাদের সাহিত্যপ্রেমী, সংস্কৃতিপ্রেমী হিসেবে গড়ে তুলবে। প্রকৃত বাঙালি হওয়ার জন্যে, বাঙালিত্ব বজায় রাখার জন্যে পাঠাভ্যাসের বিকল্প নেই।
তথ্যমন্ত্রী কবি আবদুর রউফ এর প্রশংসা করে বলেন, ছাত্রজীবন থেকে তিনি সাহিত্যপ্রেমী ছিলেন। শিক্ষকতায় নিজের অর্জিত জ্ঞান বিলিয়েছেন। তিনি দীর্ঘদিন বাম রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। তাদের গ্রামের বাড়িতে লাইব্রেরি দেখেছি। সেখানে অনেক কমিউনিস্ট নেতার যাতায়াত ছিল। আমি আশা করবো, তার হাত দিয়ে আরও বই প্রকাশিত হবে।
মনজিল মুরাদ লাভলুর কাব্যগ্রন্থ সময়োপযোগি উল্লেখ করে তার লেখনীর ভূয়সী প্রশংসা করেন ড. হাছান মাহমুদ।
বাংলাদেশ সময়: ১২২০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০১৯
এসি/টিসি