শনিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে উপজেলার রণচণ্ডী দ্বি-মুখী উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন বাড়ির পাশে পুকুর থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। নিহত আরাফাত উপজেলার রণচণ্ডী এলাকার একরামুল হকের ছেলে।
পরিবারের অভিযোগ, শিশু আরাফাত পানিতে পড়ে মরেনি, তাকে হত্যা করা হয়েছে। তবে বিকেলে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ জেলা আধুনিক হাসপাতালে মর্গে পাঠিয়ে দেন তেঁতুলিয়া মডেল থানা পুলিশ।
পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, গত ২১ ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার) দুপুরে রণচণ্ডী উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন স্থান থেকে আরাফাত নিখোঁজ হয়। এর পর আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশীদের বাড়িতে খোঁজ নিয়েও তার কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি।
নিহতের নানা আনোয়ার হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, বৃহস্পতিবার দুপুরে আরাফাত হারিয়ে গেলে আমরা অনেক খোঁজাখুজি করি। মাইকিংসহ থানায় সাধারণ ডাইরিও (জিডি) করা হয়েছিল। কিন্তু যে স্থান থেকে নাতির মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে, সেই স্থানটিও অনেকবার খোঁজাখুজি করা হয়েছে। ফায়ার সার্ভিসের সদস্য ও পুলিশ পর্যন্ত সন্ধান করেছে। পাওয়া যায়নি।
কিন্তু সেই স্থানে হঠাৎ করে নিখোঁজ নাতির মরদেহ মিলবে, সেটা নিয়ে আমাদের চরম সন্দেহ সৃষ্টি হয়েছে। তাকে হত্যা করে এখানে কেউ ফেলে রেখে গেছে বলেও তিনি অভিযোগ করেন।
তেঁতুলিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জহিরুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, গত বৃহস্পতিবার শিশুটি নিখোঁজ হওয়ার পর পরিবারের লোকজন থানায় এসে জিডি করেন। মরদেহটি উদ্ধারের পর আইনগত জটিলতা সৃষ্টি যেন না হয়, সে লক্ষে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এটি হত্যা না অন্যকিছু ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন হাতে আসার পর বিস্তারিত জানা যাবে বলেও জানানা পুলিশের এ কর্মকর্তা।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০১৯
জিপি