শনিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) রাতে চকবাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলানিউজকে তিনি এ মন্তব্য করেন।
এসময় মহাপরিচালক আলী আহমেদ বলেন, বদ্ধ ঘরে দীর্ঘদিন দাহ্য কেমিক্যাল মজুদ রাখলে, যেকোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
তিনি বলেন, যেকোনো কেমিক্যাল রাখতে হবে আলো-বাতাসের মধ্যে। রুমের মধ্যে বৈদ্যুতিক ফ্যানের ব্যবস্থা থাকতে হবে। এছাড়া সব সময় চেক করতে হবে, কেমিক্যাল যে রাখা হলো, সেখানে কোনো ত্রুটি আছে কি-না।
এসময় যেখানে কেমিক্যাল রাখা হচ্ছে, সেখানে ফায়ার সেফটি নিশ্চিত আছে কি-না, সে বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে গুরুত্বের সঙ্গে দেখার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করেছেন ফায়ার সার্ভিস ডিজি।
আরও পড়ুন>> তবু আবাসিকে কেমিক্যাল রাখার পক্ষে ব্যবসায়ীরা
আলী আহমেদ খান এও বলেন, আমাদের দেশে গ্যাস সিলিন্ডারের চাহিদা অনেক বাড়ছে। রাস্তায় বহনের সময় যেকোনো কারণে একটি সিলিন্ডার লিকেজ হলো। আর সেখান দিয়ে কোনো ব্যক্তি সিগারেট জ্বালিয়ে হেঁটে যাচ্ছে, সামান্য এটুকুতেই বিপত্তি বাঁধবে। ওই সিগারেটের আগুনে ঘটতে পারে বড় ধরনের বিস্ফোরণ। তাই সংশ্লিষ্ট সব ক্ষেত্রে আমাদের সজাগ থাকতে হবে।
এর আগে বুধবার (২০ ফেব্রুয়ারি) রাতে চকবাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে মারা যান ৬৭ জন। আহত হন আরও অনেক। এখানকার নন্দকুমার দত্ত রোডের শেষ মাথায় চুড়িহাট্টা শাহী মসজিদের পাশে ৬৪ নম্বর হোল্ডিংয়ের ওয়াহিদ ম্যানশনে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। আবাসিক ভবনটিতে কেমিক্যাল গোডাউন থাকায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনার তিনদিন পেরিয়ে গেলেও ঘটনাস্থলে এখনও ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা ও ফায়ারম্যানরা অবস্থান করছেন।
বাংলাদেশ সময়: ০০৫০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০১৯
এজেডএস/টিএ