সোমবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের জোংড়া খালে এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- বাগেরহাট জেলার মোংলা উপজেলার নামার চর গ্রামের আলতাফ হাওলাদারের দুই ছেলে মো. সোহেল হাওলাদার (৩০) ও মো. রুবেল হাওলাদার (২৭), একই গ্রামের আফজালের ছেলে মো. রাজু (২৪) ও আওয়াল হাওলাদারের ছেলে মো. হালিম হাওলাদার (৩১)।
র্যাব-৮ এর অধিনায়ক আতিকা ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চাঁদপাই রেঞ্জ থেকে আরিফ বাহিনীর চারজন দস্যুকে আটক করা হয়। পরে আটকদের জিজ্ঞাসাবাদের পর দস্যুতার কাজে ব্যবহৃত অস্ত্র ও গোলাবারুদ জোংড়ার খালে আছে বলে জানায়। তাদের সঙ্গে নিয়ে আভিযানিক দল জোংড়ার খালে গেলে আরিফ বাহিনীর অন্য সদস্যরা র্যাবের ওপর গুলি করে। আত্মরক্ষার্থে র্যাবও পাল্টা গুলি চালায়।
এসময় আটক হওয়া দস্যুরা পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে র্যাব ও দস্যুদের গুলির মাঝে পড়ে। আনুমানিক ৫-৬ ঘণ্টা উভয়পক্ষের মধ্যে গুলি বিনিময়ের পর দস্যুরা পিছু হটে। পরে জেলেদের সঙ্গে নিয়ে ওই এলাকা তল্লাশি করে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ৪ দস্যুকে উদ্ধার করে। তাদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চারজনকেই মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে, বন্দুকযুদ্ধের পর ঘটনাস্থল থেকে তিনটি বিদেশি একনালা বন্দুক, একটি বিদেশি দোনলা বন্দুক, একটি ওয়ান শুটারগান, ৬২টি বন্দুকের তাজা গুলি ও ৫৪টি খালি খোসা পাওয়া যায়। দস্যুদের মরদেহ ও উদ্ধারকৃত অস্ত্র দাকোপ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০১৯ আপডেট: ২১৩৩
এনটি