ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

১১ দিনের শিশু দাদির কোল থেকে নিরুদ্দেশ!

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৩৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০১৯
১১ দিনের শিশু দাদির কোল থেকে নিরুদ্দেশ! হাসপাতাল। ছবি: বাংলানিউজ

নেত্রকোণা: নেত্রকোণা আধুনিক সদর হাসপাতালে এগারো দিন বয়সী এক ছেলে শিশু তার দাদির কোল থেকে নিরুদ্দেশ হয়েছে!

দাদি ‘জায়েদা আক্তার’র এমন বক্তব্যের প্রেক্ষিতে শিশুর পিতা আবুল কাশেম সোমবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দিনগত রাত পৌনে ১২ টায় নেত্রকোণা মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি নম্বর-১৪৫৫) করেছেন।

কাশেম নেত্রকোণার আটপাড়া উপজেলার বানিয়াজান ইউনিয়নের পাঁচগজ গ্রামের বাসিন্দা।

পেশায় তিনি একজন কৃষক।

আবুল কাশেম বাংলানিউজকে জানান, স্ত্রী ববিতা আক্তার শুক্রবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সিজারিয়ান ব্যবস্থার মাধ্যমে এক ছেলে সন্তানের জন্ম দেন।

ময়মনসিংহ থেকে আটপাড়ায় গ্রামের বাড়িতে ফিরে যান তারা। এরমধ্যে রোববার (২৪ ফেব্রুয়ারি) পেটের সেলাই কাটার জন্য ববিতাকে আটপাড়া থেকে নেত্রকোণা আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।

শিশুর খালা ঝর্ণা ও দাদি জায়েদা বাংলানিউজকে জানান, রোববার ববিতাকে ভর্তি করা হয় মহিলা ওয়ার্ডে। সোমবার সকালে মহিলা ওয়ার্ড থেকে ববিতাকে লেবার ওয়ার্ডে পাঠিয়ে সেলাই কেটে দেয়া হয়। এদিকে দাদি জায়েদা শিশুকে নিয়ে দাড়িয়ে ছিলো লেবার ওয়ার্ডের সামনে।

এমনসময় বোরকা পড়া মুখ ঢাকা এক নারী এসে জায়েদার কাছ থেকে নাতিকে আদর জানিয়ে তার কোলে তুলে নেন। শিশুকে দাদির কোলে আবার তুলেও দেন তিনি। কিন্তু ওই নারী জায়েদার দৃষ্টি আড়াল হতে না হতেই জায়েদা বুঝতে পারেন নাতি কোলে নেই!

শুরু হয় হাসপাতাল জুড়ে তুলকালাম। হাসপাতালসহ আশেপাশে খোঁজাখুঁজি করে অপরিচিত বোরকা পড়া নারী কিংবা শিশুকে আর পাওয়া যায়নি। বিষয়টি নিয়ে সকলের মাঝে সন্দেহ দানা বাঁধতে শুরু করে।

নেত্রকোণার সিভিল সার্জন (সিএস) ডা. তাজুল ইসলাম খান বাংলানিউজকে জানান, হাসপাতালে থাকা অবস্থায় শিশু নিখোঁজের কোনো ঘটনা ঘটেনি। স্বজনরা শিশুকে হাসপাতাল থেকে নিয়ে যাওয়ার পর ফিরে এসে এসব কথাবার্তা বলছেন।

তবে সংবাদ পেয়ে নেত্রকোণার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান জুয়েল ও মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বোরহান উদ্দিন খান হাসপাতাল পরিদর্শন করেছেন।

পুলিশের এই কর্মকর্তারা বাংলানিউজকে জানান, প্রকৃত ঘটনা এখনই বুঝা যাচ্ছেনা। তবে রহস্যের জট খুলতে হাসপাতালের সবকটি ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরার (সিসি) ফুটেজ বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে দেখার কাজ চলছে। এছাড়া শিশুকে খুঁজে বের করতে পুলিশের একটি টিম মাঠে রয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ০৪৩৫ ঘণ্টা,  ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০১৯

এইচএমএস/এমকেএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।