আর ফ্লাইওভার ও সড়কের কাজ শেষ হলে রাজশাহী হবে যানজটমুক্ত শহর। মহানগরীর বুধপাড়া এলাকায় এরইমধ্যে নির্মাণাধীন ফ্লাইওভার দৃশ্যমান হয়ে গেছে।
তাই পুরো ফ্লাইওভারটি দৃশ্যমান হতে সময় লাগবে আর মাত্র দুই মাস। এই ফ্লাইওভার থেকে সিটি বাইপাস পর্যন্ত রাস্তার কার্পেটিং কাজ এরইমধ্যে শেষে হয়েছে। রাস্তার দু’পাশের ড্রেনের কাজও রয়েছে শেষ পর্যায়ে। কয়েক জায়গায় কালভার্টের কাজ শেষদিকে।
রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) প্রকৌশল শাখা সূত্রে জানা গেছে, রাজশাহী-নওগাঁ ও রাজশাহী-নাটোর চারলেন সড়ক নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় ফ্লাইওভারটি নির্মাণ করা হচ্ছে। প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ১৮২ কোটি ৬৮ লাখ টাকা। এর মধ্যে ফ্লাইওভার নির্মাণে ব্যয় হবে ২৯ কোটি ২৮ লাখ ৭৭ হাজার ৫৩২ টাকা।
রাসিকের উদ্যোগে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের অধীন এই প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হচ্ছে। সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন দায়িত্বগ্রহণের পর উন্নয়ন কার্যক্রমগুলো দ্রুত এগিয়ে চলেছে। যানজট নিরসনে চারলেনের সড়ক ও ফ্লাইওভাটি নির্মাণ করা হচ্ছে। যার ফলে রাজশাহী হবে যানজটমুক্ত শহর।
এদিকে প্রকল্প এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, মহানগরীর সপুরার আলিফ-লাম-মিম ভাটা থেকে চৌদ্দপাই (বিহাস) পর্যন্ত রাস্তা নির্মাণ করা হচ্ছে। চারলেনের রাস্তার মধ্যে সপুরার অংশের দুই লেনের পিচ ঢালাইয়ের কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে। এছাড়া মেহেরচণ্ডি পর্যন্ত রাস্তার ইটের কার্পেটিংয়ের কাজ শেষ হয়েছে।
পশ্চিম বুধপাড়ার রাস্তা থেকে মোহনপুর পর্যন্ত ভরাটের কাজ শেষ হয়েছে। এর মধ্যে দু’টি পুকুরের পাড় বাঁধা হয়েছে। আর ফ্লাইওভারের সঙ্গে সঙ্গে সংযোগ সড়কের কাজও দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে। পাইলিংয়ের কাজ শেষ। এখন ফ্লাইওভারের ওপরের অংশের কাজ চলছে।
মেহেরচণ্ডি এলাকার ফ্লাইওভারের বিষয়ে প্রকল্পের ওয়ার্ক ম্যানেজার লুৎফর রহমান জানান, রেললাইনের দু’পাশে মোট ১২টি পিলার বসবে। রেললাইনের উত্তর পাশের ছয়টি পিলারের কাজ প্রায় শেষ। আর দক্ষিণ পাশে পিলারের পাইলিংয়ের কাজ চলছে।
তিনি জানান, ফ্লাইওভারের দুই পাশে চারলেনের সড়ক করা হবে। সড়কের দু’পাশে থাকবে ড্রেন। আর দু’পাশে ওভারপাস হবে ৮০০ মিটার। ফ্লাইওভারের ভেতরের অবশিষ্ট জায়গায় আরও বেশি সুসজ্জিত করা হবে। বসানো হবে দৃষ্টিনন্দন ফুলের টবও।
রাজশাহী সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী আশরাফুল হক বলেন, ২০১৭ সালে কাটাখালির জনসভায় গিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন। এরইমধ্যে ফ্লাইওভারের প্রায় ৬০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে।
কাজের গতি ঠিক থাকলে ডিসেম্বরেই ফ্লাইওভারটির নির্মাণকাজ শেষ হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন প্রধান প্রকৌশলী।
বাংলাদেশ সময়: ০৯১০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০১৯
এসএস/আরআর