সোমবার (২৫ফেব্রুয়ারি) দিনগত রাত ২টার দিকে উপজেলার কাজীরহাটে এ ‘বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। নিহত মামুন সরদার হিজলা উপজেলার খুন্না এলাকার মালেক সরদারের ছেলে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কাজীরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) আব্দুল খালেক বাংলানিউজকে জানান, গত ৫ ফেব্রুয়ারি কাজীরহাট থানায় স্থানীয় পান্না মীরের বাড়িতে ডাকাতির ঘটনায় একটি মামলা হয়। সে মামলার সূত্র ধরে কয়েকদিন আগে রাসেল হাওলাদার নামে একজনকে গ্রেঢতার করা হয়।
পুলিশ ও আদালতে রাসেলের দেওয়া স্বীকারোক্তি অনুযায়ী মামুনের নেতৃত্বে ওই ডাকাতি সংগঠিত হয়েছে। ডাকাতির মালপত্রও তার কাছে রয়েছে। এ সূত্র ধরে পুলিশ অভিযানে নেমে সোমবার রাত ৮টার দিকে মুলাদী ব্রিজ এলাকা থেকে মামুনকে গ্রেফতার করে। পরে তার দেওয়া তথ্যানুযায়ী কাজীরহাট থানা এলাকার কাজীরাবাদ ডিগ্রি কলেজস্থ মনিরের ইটভাটার পশ্চিমপাশে ডাকাতির মালপত্র উদ্ধারের অভিযানে যায় পুলিশ।
রাত ২ টার দিকে অভিযানের সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে মামুনের সহযোগীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এ সময় পুলিশ আত্মরক্ষায় পাল্টা গুলি চালায়। এরমধ্যে মামুন পালিয়ে যাওয়ার জন্য দৌড় দিলে তিনি গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর হয়। পরে তাকে মুলাদী হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
কাজীরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) আব্দুল খালেক আরও জানান, ঘটনাস্থল থেকে একটি ওয়ান শুটার, একটি পাইপগান, দুই রাউন্ড রাইফেলের গুলি, দুই রাউন্ড পিস্তলের গুলি, বেশকিছু গুলির খালি খোসা, দুইটি রামদা, একটি শাপল ও ছয়টি মুখোশ উদ্ধার করা হয়েছে।
মরদেহ ময়না তদন্ত ও এ ঘটনায় অস্ত্র আইন, পুলিশের ওপর হামলা, মামুন নিহত হওয়ার ঘটনায় তিনটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান ওসি।
বরিশালের পুলিশ সুপার (এসপি) সাইফুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, নিহত মামুনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ডাকাতিসহ একাধিক মামলা রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৫৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০১৯
এমএস/এএটি