ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

খুলনায় শিলাবৃষ্টি, রাস্তার পানিতে ভোগান্তিতে নগরবাসী

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৪৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০১৯
খুলনায় শিলাবৃষ্টি, রাস্তার পানিতে ভোগান্তিতে নগরবাসী খুলনায় বৃষ্টিতে রাস্তায় জমেছে পানি, ছবি: বাংলানিউজ

খুলনা: খুলনায় বজ্রসহ বৃষ্টি ও ঝড় হয়েছে। একইসঙ্গে বিভিন্ন জেলায় হয়েছে শিলাবৃষ্টি।

মঙ্গলবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টা থেকে ১০টা পর্যন্ত চলে এ বৃষ্টিপাত। তবে দুপুর ১২টা পর্যন্ত হালকা বৃষ্টি হয়।

ভোর থেকে আকাশ মেঘলা থাকলেও ৯টার দিকে চারদিক অন্ধকার হয়ে আসে। শুরু হয় বজ্রসহ বৃষ্টি। সঙ্গে পড়েছে শিলও। ফাল্গুনের বৃষ্টি বোরো ধানের জন্য আর্শিবাদ হলেও ঝড় ও শিলাবৃষ্টি হওয়ায় আমের মুকুলের ক্ষতি হয়েছে। শিলার আঘাতে আমের মুকুল গাছের নিচে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে আছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ঘরবাড়ি ও গাছপালার। খুলনায় বৃষ্টিতে রাস্তায় জমেছে পানি, ছবি: বাংলানিউজএদিকে মাত্র এক ঘণ্টায় মহানগরীর রাস্তায় হাঁটু পানি জমে গেছে। ফলে সড়কে যানবাহন চলাচলও থমকে গিয়ে ভোগান্তির মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। ব্যস্ততম রয়্যালের মোড়, শামসুর রহমান রোড, পিটিআই মোড়, শান্তিধামের মোড়ে বৃষ্টির পানিতে ভোগান্তিতে নগরবাসী। এমনিতেই বৃষ্টি, তার ওপর রাস্তায় পানি জমে থাকায় বেশ অসুবিধা হয়েছে অফিসগামী মানুষের।

দৌলতপুরের বাসিন্দা সরকারি চাকরিজীবী ওয়েজুল হক বাংলানিউজকে বলেন, সকাল থেকেই থেমে থেমে বৃষ্টি। বজ্রপাত তো আছেই। গোলকধাম থেকে রেলগেট পর্যন্ত রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ির ছোট বড় গর্তে পানি জমে চলাফেরায় ভোগান্তি হচ্ছে সাধারণ মানুষের। মশার উৎপাত আগে থেকেই ছিল বৃষ্টি যেন তাতে ঘি ঢেলে দিয়েছে। কর্মব্যস্ত শিল্প এলাকা দৌলতপুরের মানুষ বছর শুরুর বৃষ্টিতে ঘরে আটকা পড়েছে। খুলনায় বৃষ্টিতে রাস্তায় জমেছে পানি, ছবি: বাংলানিউজইউনিভিশনের নির্বাহী ব্যবস্থাপক হেলাল হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, পানিতে সয়লাব খুলনা শহরে ভোগান্তিতে শহরবাসী। তার উপর ওয়াসার খুঁড়ে রাখা গর্ত মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে।

বেসরকারি চাকরিজীবী নাসির হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, খোলা নর্দমার কারণে রাস্তার নোংরা পানি পার হয়েই অফিসের যেতে হচ্ছে। ভাড়াও গুনতে হচ্ছে অন্য সময়ের চেয়ে বেশি।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর খুলনার উপ-পরিচালক কৃষিবিদ পঙ্কজ কান্তি মজুমদার বাংলানিউজকে জানান, হালকা শিলবৃষ্টিতে বোরো ধানের উপকার হবে। আমের মুকুলের সামান্য ক্ষতি হলে হতে পারে।

খুলনা আঞ্চলিক আবহাওয়া কার্যালয়ের সিনিয়র আবহাওয়াবিদ আমিরুল আজাদ বাংলানিউজকে বলেন, কালবৈশাখী ঝড় আসবে এমন প্রভাবে এ বৃষ্টিপাত। সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত খুলনায় ৩৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।   বাতাসের গতিবেগ ছিলো ৫৬ কিলোমিটার। হালকা শিলাবৃষ্টিও হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১২৪৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০১৯
এমআরএম/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।