ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

‘শিক্ষার্থীদের জন্য ডিজিটাল কন্টেন্ট তৈরি অব্যাহত থাকবে’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭৪৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৬, ২০১৯
‘শিক্ষার্থীদের জন্য ডিজিটাল কন্টেন্ট তৈরি অব্যাহত থাকবে’ কর্মশালায় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেনসহ অন্যরা। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: ‘কোমলমতি শিক্ষার্থীদের তথ্যপ্রযুক্তিতে প্রাথমিক ধারণা দেওয়ার জন্য প্রতিটি বিদ্যালয়ে ল্যাপটপ, মাল্টিমিডিয়া ও সাউন্ড সিস্টেম সরবরাহ করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে দেশের সব বিদ্যালয়ে একটি করে মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম চালু করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের জন্য ডিজিটাল কন্টেন্ট তৈরি ও ব্যবহার অব্যাহত থাকবে।

প্রয়োজন অনুযায়ী ৬৭টি পিটিআইয়ের বিদ্যমান কম্পিউটার ল্যাব আধুনিকায়ন ও সম্প্রসারণ করা হবে।  শিক্ষার্থীদের তথ্যপ্রযুক্তিতে প্রাথমিক ধারণা দেওয়ার জন্য শিক্ষকদের আইসিটি বিষয়ে বিভিন্ন প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ করে গড়ে তোলা হচ্ছে।

প্রতিমন্ত্রী বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) রাজধানীর মিরপুরে পিটিআই অডিটোরিয়ামে ‘ডিজিটাল সার্ভিস ডিজাইন ল্যাব’ শীর্ষক কর্মশালার প্রধান অতিথির বক্তৃতায় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন এসব কথা বলেন।

কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. এএফএম মনজুর কাদির। সভাপতিত্ব করেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আকরাম-আল-হোসেন।

প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন বলেন, আমরা ইতোমধ্যে এমডিজি বাস্তবায়ন করেছি। বর্তমান সরকার এসডিজি বাস্তবায়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এক্ষেত্রে এটুআই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। এসডিজি বাস্তবায়নের উদ্দেশ্যে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিতকল্পে বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে চলেছে। মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিতকল্পে তথ্য ও প্রযুক্তি উন্নয়ন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। আমাদের কোমলমতি শিশুরাই ২০২১ সালে মধ্যে ডিজিটাল বাংলাদেশ ও ২০৪১ সালে মধ্যে বাংলাদেশ উন্নত সমৃদ্ধ দেশের সারিতে অবতীর্ণ হওয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। তাই তাদের তথ্যপ্রযুক্তি জ্ঞানে সমৃদ্ধ করে গড়ে তুলতে হবে। এলক্ষ্যে  প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় কোমলমতি শিশুদের আইসিটিতে দক্ষ করে গড়ে তোলার জন্য বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে চলেছে।

তিনি বলেন, প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন কার্যক্রম ডিজিটালাইজড করা এবং স্বচ্ছতা আনায়নকল্পে ই-মনিটরিং বাস্তবানের নিমিত্ত মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাকে ট্যাব দেওয়া হয়েছে। বিদ্যালয়ে শিক্ষকদের যথাসময়ে আগমন এবং প্রস্থান নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে বায়োমেট্রিক হাজিরা স্থাপনের কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। দুর্নীতিমুক্ত ও স্বচ্ছতা আনায়নকল্পে শিক্ষক/শিক্ষিকার বদলির বিষয়াদি অনলাইনে সম্পন্নের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের ভীষণ এখন ১৬ কোটি মানুষের ভিশনে পরিণত হয়েছে। দেশের শিক্ষাখাতকে ডিজিটাল না করা হলে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্য অর্জিত হবে না।

তিনি বলেন, প্রযুক্তি জ্ঞানসমৃদ্ধ জাতি গঠনের লক্ষ্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ হতে দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৮ হাজার শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব স্থাপন করা হয়েছে। ইস্টাব্লিশিং ডিজিটাল কানেক্টিভিটি (ইডিসি) প্রকল্পের মাধ্যমে দেশের ৬৪ হাজার স্কুলে পর্যায়ক্রমে ইন্টারনেট কানেক্টিভিটি পৌঁছে দেওয়া হবে।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব বলেন, ভূমিষ্ঠ হওয়ার ৪৫ দিনের মধ্যে শিশুদের জন্মনিবন্ধন করা হলে মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করা আরও সহজ হবে। তিনি তথ্য ও প্রযুক্তি বিভাগের মাধ্যমে এ নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে শিশুদের জন্ম নিবন্ধনের জন্য স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়কে আহ্বান জানান।

বাংলাদেশ সময়: ০২৪২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৬, ২০১৯
এমআইএইচ/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।