মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অধ্যাপক অজয় রায়ের নাগরিক শ্রদ্ধাঞ্জলির আয়োজনে তিনি এসব কথা বলেন।
সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের ব্যবস্থাপনায় এ শ্রদ্ধা নিবেদনের আয়োজনে যোগ দেন বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ।
অনুজিৎ রায় বলেন, পিতা হারানোর বেদনা আমি মর্মে মর্মে অনুভব করছি। তিনি শুধু আমার পিতা ছিলেন না। তিনি ছিলেন পদার্থবিজ্ঞানী, লেখক, বুদ্ধিজীবী; সর্বোপরি একজন মুক্তচিন্তার মানুষ।
‘বাবা ইচ্ছা করলে সপরিবারে বিদেশে থাকতে পারতেন। কিন্তু তিনি সেটি করেননি। তিনি সপরিবারে বাংলাদেশে থেকেছেন। তিনি বলতেন, এটা আমার দেশ, আমি দেশ ছেড়ে কেন যাব?’
তিনি আরও বলেন, মৌলবাদমুক্ত, উদার গণতান্ত্রিক একটি রাষ্ট্রের জন্য বাবা মুক্তিযুদ্ধ করেছিলেন। তার প্রত্যাশা মাফিক বাংলাদেশ হলে, তার সব সংগ্রাম সার্থক হবে।
অনুজিৎ রায় জানান, অজয় রায়ের শেষ ইচ্ছা ছিল, তার মরদেহ চিকিৎসাবিজ্ঞানের গবেষণার জন্য দান করা। সেই ইচ্ছা অনুযায়ী, মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর বারডেম হাসপাতালে তার মরদেহ দান করা হবে।
সোমবার (০৯ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টা ৩৫ মিনিটে রাজধানীর বারডেম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান অধ্যাপক অজয় রায়।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১০, ২০১৯
ডিএন/এসএ