ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

‘দক্ষিণ এশিয়ার উন্নয়নে প্রয়োজন আঞ্চলিক সহযোগিতা’

ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩৩৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১০, ২০১৯
‘দক্ষিণ এশিয়ার উন্নয়নে প্রয়োজন আঞ্চলিক সহযোগিতা’

ঢাকা: দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর টেকসই উন্নয়নের জন্য আঞ্চলিক প্রয়োজন। এ সহযোগিতা ছাড়া টেকসই উন্নয়ন সম্ভব নয় বলে মত দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) রাজধানীতে আয়োজিত এক সংলাপে এ মত দেন তারা। ‘দক্ষিণ এশিয়ার টেকসই উন্নয়নের জন্য আঞ্চলিক সহযোগিতা’- শীর্ষক এ সংলাপের আয়োজন করে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ (বিস) ও ইউনাইটেড ন্যাশনস ইকোনমিক অ্যান্ড সোশ্যাল কমিশন ফর এশিয়া অ্যান্ড দ্যা প্যাসিফিক (ইউএনএসকাপ)।

বিস মিলনায়তনে আয়োজিত এ সংলাপের উদ্বোধনী পর্বে প্রধান অতিথি ছিলেন বে অব বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টিসেক্টরাল টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক কো-অপারেশনের (বিমসটেক) মহাসচিব এম শহীদুল ইসলাম। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন নেপাল সরকারের জাতীয় পরিকল্পনা কমিশনের সহ-সভাপতি ড. পুস্প রাজ কাদেল। এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন বিস মহাপরিচালক মেজর জেনারেল এ কে এম আবদুর রহমান, ইউএনএসকাপ এশিয়া প্যাসিফিক অফিসের পরিচালক ড. নাগেশ কুমার।

বিমসটেক মহাসচিব শহীদুল ইসলাম বলেন, দক্ষিণ ও পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে কানেকটিভি, বাণিজ্য, বিনিয়োগ ইত্যাদি বাড়ানোর লক্ষ্যে কাজ করছে বিমসটেক। বিমসটেক দেশগুলোর মধ্যে বাণিজ্য বাড়াতে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির লক্ষ্যেও আমরা কাজ করছি। এ চুক্তি হলে এ জোটের দেশগুলোর মধ্যে বাণিজ্য বাড়বে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

সংলাপে বিভিন্ন পর্বে বক্তারা বলেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো চমৎকার অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও অর্থনীতির বিভিন্ন দিকে বৈচিত্র সত্ত্বেও উপ-আঞ্চলিক দেশগুলোতে ক্রমাগতভাবে উন্নয়ন বৈষম্য বাড়ছে। অথচ এ অঞ্চলের এক তৃতীয়াংশ মানুষই দারিদ্র ও ক্ষুধার মধ্যে বাস করছে। টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল আঞ্চলিক রোডম্যাপ এজেন্ডা ২০৩০ গুরুত্বপূর্ণ, যেখানে ইউএনএসকাপ অনেকগুলো কৌশলগত ক্ষেত্র চিহ্নিত করেছে। একইসঙ্গে এ এজেন্ডা এসডিজির লক্ষ্য পূরণেও কাজ করবে।

সংলাপে আরও বক্তব্য রাখেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন, বিসের গবেষণা পরিচালক মাহফুজ কবীর, সার্ক সেক্রেটারিয়েটের পরিচালক (ইটিএফ) চঞ্চল সরকার, শ্রীলঙ্কার গবেষক ড. আথুলা সিনেরেত্নে, ভারতের গবেষক রঘুবার ‍দায়াল প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১০, ২০১৯
টিআর/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।