ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

উদাসীনতায় ও আইনের প্রয়োগ না হওয়ায় নির্মাণ ঝুঁকি কমছে না

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৪৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৩, ২০১৯
উদাসীনতায় ও আইনের প্রয়োগ না হওয়ায় নির্মাণ ঝুঁকি কমছে না

ঢাকা: ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ও শ্রমিকদের উদাসীনতা, আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার না হওয়া ও আইন প্রয়োগের অভাবসহ নানা কারণে নির্মাণ কাজে ঝুঁকি কমানো সম্ভব হচ্ছে না।

বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) রাজধানীর কারওয়ান বাজারে দ্য ডেইলি স্টার সেন্টারে ‘নির্মাণ ঝুঁকি মোকাবেলায় সমন্বিত প্রস্তাবনা: সচেতনতা বাড়াতে অংশীজনদের ভূমিকা’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে আলোচকরা এসব কথা বলেন। আরএফএল পাইপ অ্যান্ড ফিটিংসের সহযোগিতায় এ বৈঠক আয়োজন করে দ্যা ডেইলি স্টার।

বৈঠকটি সঞ্চালনা করেন ডেইলি স্টারের সহযোগী সম্পাদক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহেদুল আনাম খান ।

বিল্ডিং টেকনোলজি অ্যান্ড আইডিয়াস লিমিটেডের (বিটিআই) ব্যবস্থাপনা পরিচালক এফ আর খান বলেন, নির্মাণ কাজের ঝুঁকি কমাতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে সঙ্গে নিয়ে সামষ্টিক উদ্যোগ নিতে হবে। অনেকক্ষেত্রে দেখা যায় সচেতনতার অভাবে নানা ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে। তাছাড়া নির্মাণ শ্রমিকরা সেফটি ইকুইপমেন্ট পরতে উদাসীনতা দেখান।

তিনি আরও বলেন, শ্রমিকরা যাতে সাবধানতার সঙ্গে কাজ করে সেজন্য তাদের নিবন্ধন প্রথা চালুর করা যেতে পারে। সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তর এ ক্ষেত্রে এগিয়ে আসতে পারে।

আরএফএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আর এন পাল বলেন, নির্মাণকাজের সঙ্গে যারা জড়িত তারা পেশাদারিত্ব, শৃঙ্খলা ও আইন যথাযথভাবে মেনে চললে নির্মাণ কাজের ঝুঁকি কমানো সম্ভব হবে।

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরাকৌশল বিভাগের প্রফেসর সাইফুল আমিন বলেন, নির্মাণ কাজ সংশ্লিষ্ট নানা ধরনের আইন রয়েছে। তবে অনেকেই না জানার কারণে এসব আইন মানেন না। আর যারা প্রয়োগের দায়িত্ব আছেন তারাও ঠিকমত প্রয়োগ করেন না।

নির্মাণ কাজের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সম্পৃক্তদের সবাইকে নিবন্ধনের আওতায় আনার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, এর মাধ্যমে সবার জবাবদিহিতা বাড়বে।

সেন্টার ফর হাউজিং অ্যান্ড বিল্ডিং রিসাচের্র নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ আবু সাদেক বলেন, নির্মাণ কাজের ঝুঁকি কমাতে প্রচলিত নির্মাণ সামগ্রীর পরিবর্তন এবং আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়াতে হবে। এছাড়া ভবন, সড়ক নির্মাণের পরিকল্পনা পর্যায়েই ঝুঁকিগুলো শনাক্ত করতে হবে, যাতে ঝুঁকি এড়ানো সম্ভব হবে।

সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী আবু সালেহ মোহাম্মদ নুরুজ্জামান বলেন, দরপত্র আহ্বানের সময় নির্মাণ কাজের ঝুঁকি মোকাবেলার শর্তগুলো উল্লেখ করতে হবে, যাতে করে ঠিকাদার বা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সেগুলো মেনে চলতে বাধ্য হয়।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়শেন অব কনস্ট্র্রাকশন ইন্ডাস্ট্রির (বিএসিআই) সভাপতি এস এম খোরশেদ আলম, ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির সিভিল অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রফেসর ড. তারেক উদ্দিন, ইনস্টিটিউট অব ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশের (আইইবি) অনারারি অ্যাসিসট্যান্ট সেক্রেটারি জেনারেল প্রকৌশলী খায়রুল বাশার ও ইউনাইটেড হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. রওশন আরা খানম।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১২, ২০১৯
এসই/এবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।